০৮ জুন ২০২০, ০৯:০৮

করোনামুক্তিরও ভুয়া সনদ!

  © প্রতীকী ছবি

মহামারি করোনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও দেশ থেকে বিশেষ ফ্লাইটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফিরছেন বিদেশি নাগরিকরা। যাবার সময় নিতে হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে করোনামুক্তির সনদ অর্থাৎ করোনা নেগেটিভ সনদ। নয়তো আবার কাউকে উড়োজাহাজে চড়তে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশ থেকে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়েও তাদের দেশে বিমানবন্দরে টেস্টে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এতে প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশ থেকে নেওয়া করোনামুক্তির সনদের মান নিয়ে।

এরই মধ্যে জাপান সরকার বাংলাদেশ থেকে যে কোনো ফ্লাইট দেশটিতে যাওয়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। একই ধরনের ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়া উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পররাষ্ট্র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে গতকাল এ তথ্য জানা গেছে।

বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিদেশ ফেরতদের যারা এই ধরনের করোনামুক্ত বলে হেলথ সার্টিফিকেট দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। জাপান সরকার এরই মধ্যে আমাদের 'ডাউন গ্রেড' করেছে। এখন আমাদের কোনো ফ্লাইট সেখানে যেতে পারছে না। এখান থেকে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে যাওয়ার পর তাদের ওখানকার পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশের বাইরে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে কোনো যাত্রী পাঠানো হলেই সেখানে এই ধরনের গাফিলতি দেখা যায়। যারা এই সনদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রদানের সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে। তাদের লাইসেন্স বাতিল করা জরুরি।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, কোন হাসপাতাল থেকে তারা করোনামুক্তির সার্টিফিকেট নিয়ে তারা দেশে ফিরেছেন- এটা আমরা এখনও জানি না।

এ বিষয়ে সংশ্নিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, জাপানের নাগরিকদের নিয়ে বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার পর একটি ফ্লাইটে ৪ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে তাদের কাছে নেগেটিভ সনদ ছিল। যেটি বাংলাদেশ থেকে নেওয়া। একইভাবে বিশেষ ফ্লাইটে দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে যাওয়া তাদের ১২ নাগরিকের করোনা ধরা পড়ে। তারা সবাই বাংলাদেশ থেকে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে গেছেন।

জানা গেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিমান যাত্রীদের করোনামুক্ত হেলথ সার্টিফিকেট নিতে হয়। বাংলাদেশ থেকে ফেরত যাওয়া করোনা পজিটিভ বিমানযাত্রীদের কোন হাসপাতাল করোনা মুক্তের সার্টিফিকেট দিয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। এদিকে সংশ্নিষ্টরা ধারণা করছেন, এমন পরিস্থিতির করোনামুক্তির এই সনদগুলো জাল।