১৭ মে ২০২০, ১৬:০৫

মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান’

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী ১৯ মে (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, দেশের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায়। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্যদ্রব্যও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

রোববার (১৭ মে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতোমধ্যেই শনিবার জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মিটিং করেছি। উপকূলীয় জেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়সহ যেকোনো দুর্যোগে স্থায়ী কার্যাদেশ (এসওডি) অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয় সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৪৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৮০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৭৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ২৫৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।