করোনায় ব্র্যাক কর্মকর্তার মৃত্যু
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ মে ২০২০, ০৮:২৩ PM , আপডেট: ১৪ মে ২০২০, ০৮:৪১ PM
এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি (এসডিপি)-র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আফতাব উদ্দীন আহমদ। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালে ফুসফুসের জটিলতা নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি কোভিড-১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন।
জানা গেছে, সদালাপী, নিরহঙ্কার এবং প্রাণবন্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আফতাব উদ্দীন আহমদ কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে তিনি শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলেন। কিছুদিন তিনি শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ বোধ না করলেও সব কাজে সমান উৎসাহী থেকেছেন। মৃত্যুকালে তিনি পুত্র, কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও গুণমুগ্ধ রেখে গেছেন।
২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ব্র্যাকে যোগান করেন তিনি। এর আগে তিনি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ফর বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি (সিইবিএআই)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। বাংলাদেশ মিলিটারি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স (ইএমই)-তে ২৭ বছরেরও বেশি সময় বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
এছাড়া ইউনিসেফ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), আইকেইএ, সেভ দ্যা চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, ওয়াার্ল্ড ব্যাংক, ইউরোপীয় কমিশন, সিটি ব্যাংক এনএসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব তৈরির ক্ষেত্রে তিনি কৌশলগত নেতৃত্ব প্রদান করেছেন।
আফতাব উদ্দীন আহমদ বিশ্বব্যাংক ও সুইসকন্টাক্ট-এর মতো কয়েকটি দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতিমালা তৈরির জন্য গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির অন্যতম প্রধান সদস্য ছিলেন তিনি।
এ ছাড়াও জাতীয় শিক্ষানীতি, আনুষ্ঠানিক শিক্ষানীতি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সংস্কার, এডুকেশন ওয়াচ ২০১৩ এবং কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) নীতি তৈরিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ইউসেপ বাংলাদেশ- এর প্রতিষ্ঠা এবং বেড়ে ওঠার পেছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এছাড়া কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) সেক্টরে তাঁর অবদানের কথা সকলে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে।