১৪ মে ২০২০, ১৯:০৭

এক রোগীর চিকিৎসায় লাগবে ৬০ হাজার টাকার রেমডেসিভির

  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে রেমডেসিভির। ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যবহার করার উপযোগী এ ওষুধটির উৎপাদন বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে। তবে এর চড়া মূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য ওষুধটি দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে সরবরাহের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। করোনা রোগের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতকৃত হাসপাতালে চলতি মে মাসের শেষ সপ্তাহে এ ‍ওষুধের সরবরাহ শুরু হবে। তবে শুধু সঙ্কটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসায় ‍ওষুধটি ব্যবহার করা হবে।

অত্যন্ত ব্যয়বহুল এ ওষুধটি সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ফ্রি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া রোগীদের এটি টাকার বিনিময়ে কিনে নিতে হবে। ইতিমধ্যে এসকায়েফ ও বেক্সিমকো রেমডেসিভিরের উৎপাদন শুরু করেছে।

এছাড়া ইনসেপ্টা, স্কয়ার, বিকন, হেলথকেয়ার, পপুলার ও একমি ল্যাবরেটরিজ ওষুধটি উৎপাদন শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রতি ডোজ ওষুধের দাম পড়বে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। সে হিসেবে প্রয়োজনীয় ১১ ডোজ ওষুধের দাম পড়বে প্রায় ৫৫ থেকে ৬৬ হাজার টাকা।

করোনা চিকিৎসায় ওষুধটি ফ্রি দেয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হাবিবুর রহমান খান। তিনি বলেছেন, অত্যন্ত ব্যয়বহুল হলেও করোনা রোগীদের জন্য রেমডেসিভির ওষুধের ব্যয় বহন করবে সরকার। তবে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া রোগীরা এটি ফ্রি পাবেন না।

তিনি জানান, সব রোগীর জন্য এ ওষুধটির প্রয়োজনীয়তা নেই। শুধুমাত্র সঙ্কটজনক রোগীকে এটি দেয়া হবে। ওষুধটি রোগীর করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সময় কমিয়ে দেয়। বর্তমানে করোনা রোগীদের গড়ে ১৫দিন চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও এ ওষুধটি তা কমিয়ে দেয় ১১দিনে।

সাধারণত ইবোলা রোগের জন্য রেমডেসিভির ওষুধের ব্যবহারের নজির রয়েছে। তবে কোভিড চিকিৎসায় এটি বেশ কার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) জরুরি ব্যবহারের জন্য এ ওষুধটির অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশেও আটটি ওষুধ কোম্পানিকে এটি উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।