শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের ছোট ভাই করোনায় আক্রান্ত
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ছোট ভাই। আজ রবিবার (১০ মে) চট্টগ্রামের দু’টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রাম জেলায় ৪৯ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজন সালেহীন।
মহিউদ্দিনের জামাতা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী বলেন, সালেহীন কিছুদিন ঢাকায় ছিল। ফেরার পর গত বৃহস্পতিবার তার জ্বর আসে। নমুনা পরীক্ষার জন্য বিআইটিআইডিতে পাঠালে সেখান থেকে পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে। তাকে আপাতত বাসায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এখন জ্বর নেই। উপসর্গ বেশি দেখা না গেলে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
এদিন চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২২টি নমুনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবে শনিবার ৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর ফল জানানো হয় রবিবার। এতে মোট ৫৩টি নমুনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির জানান, বিআইটিআইডিতে শনাক্ত ২২ জনের মধ্যে চট্টগ্রামের ১৪ ও নোয়াখালী জেলার আট জন আছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১১ জন এবং মিরসরাই, চন্দনাইশ ও হাটহাজারী উপজেলায় তিন জন আছেন।
নগরীর আগ্রাবাদ হাজী পাড়া, নাসিরাবাদ মেয়র গলি, সরাই পাড়া, একে খান এলাকা, উত্তর কাট্টলী, মুন্সীপাড়া, কর্ণেল হাট ও ফিল্ড হাসপাতালে একজন করে এবং হালিশহর এলাকায় দু’জন করোনাভাইরাস সংক্রমিত পাওয়া গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী জানান, সিভাসুর ল্যাবে শনাক্ত ৫৩ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার আছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে মহানগরী এলাকার দু’জন এবং বাকিরা বিভিন্ন উপজেলার। এছাড়া ফেনী জেলার সাত জন, লক্ষীপুরের তিন এবং নোয়াখালী জেলার আট জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
সিভাসুর ল্যাবে করা পরীক্ষায় নগরীর মনসুরাবাদ ও মনসুরাবাদ এলাকার দু’জন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ১৪ জন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১০ জন, সন্দ্বীপের সাত জন এবং বাঁশখালী ও রাউজান উপজেলার একজন করে দু’জন আছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের এ পর্যন্ত ২৬৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৪ জন, মারা গেছেন ১৮ জন।