০৫ মে ২০২০, ১২:১০

২১ দিনে করোনা জয় করল ৯ বছরের শিশু রাহাত

বরিশালের উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এই প্রথম ২১ দিন পর করোনাভাইরাসকে জয় করে বাড়ি ফিরে এল রাহাত ফরাজী। সোমবার (৫ মে) দুপুরে রাহাতকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এরপর বাবার হাত ধরে বাড়ি ফিরে যায় সে।

রাহাত বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মধ্য রাকুদিয়া গ্রামের শিমুল ফরাজীর ছেলে। গত ২১ দিন ধরে সে পার্শ্ববর্তী উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিল।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বিদায়ের সময় করোনাজয়ী রাহাতকে ফলসহ একমাসের খাদ্য সামগ্রী (চাল, ডাল, আলু) উপহার হিসেবে দেন উপজেলা প্রশাসন।

এ সময় সেখানে উজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণতী বিশ্বাস, পৌর মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন বেপারী, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী, উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান, উপজেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা অয়ন শাহা, সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী জানান, গত ১৩ এপ্রিল পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাবুগঞ্জের মধ্য রাকুদিয়া থেকে সর্দি-জ্বর, গলাব্যাথা, শ্বাসকষ্ট, কাশিতে আক্রান্ত রাহাত ফরাজীকে (৯) উজিরপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাৎক্ষনিক শিশুটিকে ভর্তি করে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়। পাশাপাশি ১৪ এপ্রিল করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। পরে ১৬ এপ্রিল শিশুটির রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এলে হাসপাতালেই তার চিকিৎসা চলমান থাকে।

ডা. শওকত হোসেন জানান, প্যারাসিটামল, অ্যান্টি-হিস্টামিন, ভিটামিন সি ও অ্যাজিথ্রোমাইসিন জাতীয় ওষুধ দেয়া হয়েছিল রাহাতকে। এছাড়া প্রতিদিন গরম পানির বাষ্প এবং আদা ও লবণ দিয়ে গরম পানির গড়গড়া করানো হয়েছে তাকে। ধীরে ধীরে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। ২৪ এপ্রিল রাহাতের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠালে ২৬ এপ্রিল রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপরও নিশ্চিত হতে ২ মে পুনরায় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ৩ মে তার নেগেটিভ রিপার্ট আসে। এর প্রেক্ষিতে দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয় রাহাতকে।

এছাড়াও শিশুটির চিকিৎসার সময় তার কাছে আইসোলেশনে থাকা বাবা ও দাদীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলে তাদেরও করোনা নেগেটিভ পাওয়া যায়। শিশুটির শরীর থেকে করোনা ভাইরাস নির্মূল হওয়ায় সোমবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।