মৃত্যু কম হলেও ভারতের চেয়ে সংক্রমণ বেশি বাংলাদেশে
পুরো বিশ্বে যখন একযোগে লড়ছে করোনার বিরদ্ধে সেই দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই এশিয়ার দুই দেশ বাংলাদেশ ও ভারতও। দুই দেশেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তবে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের হার বেশি। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের হার ১১.৫৬ ভাগ। অপরদিকে, ভারতে করোনা আক্রান্তের হার ৩.৮৫ ভাগ।
এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি ভারতে-৩.২৬ ভাগ। বাংলাদেশে মৃত্যুহার ১.৭৯। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও বিশ্বের মোট মৃত্যুর তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় মৃত্যুর হার মাত্র ১ শতাংশ।
ওয়ার্ল্ডওমিটারসের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে সোমবার পর্যন্ত মোট ৮৭ হাজার ৬৯৪ জনের করোনা পরীক্ষা করে ১০ হাজার ১৪৩ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের হার ১১.৫৬ ভাগ। আর আক্রান্ত ১০ হাজার ১৪৩ জনের মধ্যে মারা গেছেন ১৮২ জন। মৃত্যুর হার ১.৭৯।
অপরদিকে, ভারতে ১১ লাখ ৭ হাজার ২৩৩ জনের করোনা পরীক্ষা করে ৪২ হাজার ৬৭০ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। দেশটিতে করোনা আক্রান্তের হার ৩.৮৫ ভাগ। মারা যাওয়ার হার ৩.২৬। পাকিস্তানের ২ লাখ ১২ হাজার ৫১১ জনের শরীরে করোনা পরীক্ষা করে ২০ হাজার ১৮৬ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। আক্রান্তের হার ৯.৪৯ ভাগ। আর মারা যাওয়ার হার ২.২৮। আফগানিস্তানে ১১ হাজার ৬৪ জনের শরীরে করোনা পরীক্ষা করে ৮৫ জনের ২ হাজার ৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। আক্রান্তে হার ২৪.৪৩। আর মারা যাওয়ার হার ৩.১৪।
বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার ৫৮তম দিনে এসে মোট আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ২৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৮৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এখন পযন্ত একদিনে এটাই সর্বোচ্চসংখ্যক শনাক্ত হওয়া রোগী। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ১৪৩ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৫ জন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১৮২ জন। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়।
দক্ষিণ এশিয়ায় মৃত্যুর হার ১ শতাংশের কম, বাকি বিশ্বের নিরিখে সার্কভুক্ত দেশগুলোয় করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার এখন পর্যন্ত উদ্বেগজনক জায়গায় পোঁছায়নি। পাঁচ মাস ধরে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর প্রেক্ষাপটে কিছু তথ্য-পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার তরফে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট জানাচ্ছে, বিশ্বের মোট আক্রান্তের মাত্র ১১ শতাংশ দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি সার্কভুক্ত দেশের।