করোনাভাইরাস ঠেকাতে ভাইরাস প্রতিরোধী গাড়ি বাজারে আনল চীন
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য উদ্বেগের কথা মাথায় রেখে ভাইরাস ঠেকানোর ব্যবস্থা সংবলিত গাড়ি বাজারে ছেড়েছে চীনের গাড়ি নির্মাতারা। নতুন মডেলের এই গাড়িগুলোতে থাকছে ফেস মাস্ক পরলে যে মাত্রার সুরক্ষা পাওয়া যায় গাড়ির ভেতর সেরকম ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি। তবে গবেষণা সংস্থা ফ্রস্ট অ্যান্ড সালিভান বলছে, এসব নতুন পদক্ষেপ শুধুই চটকদার।
মুনাফা তুলতে দেশটির কয়েকটি বড় গাড়ি নির্মাতা সংস্থা এ ধরনের গাড়ি বাজারে এনেছে। এরমধ্যে আছে গিলি নামে একটি সংস্থা যারা লন্ডনের রাস্তায় চলা কালো ট্যাক্সি বানায়।
গিলি নামের কোম্পানিটি প্রথম ভাইরাস প্রতিরোধী ব্যবস্থা সংবলিত তাদের গাড়িটি বাজারে চালু করেছে। বড় শহরে বায়ু দূষণ থেকে মোটরগাড়ির চালকরা কীভাবে সুরক্ষা পেতে পারেন তা নিয়ে কিছু কাজ তারা আগেই করেছিল।
অন্যদিকে ব্রিটিশ ব্র্যান্ড এমজির মালিক সংস্থা এসএআইসি আরও একটি বাড়তি ফিচার যোগ করেছে তাদের গাড়িতে। এতে গাড়ির ভেতর একটি অতিবেগুনি রশ্মির বাতি ব্যবহার করে গাড়ির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে গাড়ির ভেতরের বাতাসকে জীবাণুমুক্ত করা যাবে।
গিলির একজন মুখপাত্র জানান, অনেক গাড়িচালক তাদের গাড়িতে লম্বা সময় কাটান, অনেকের কাছে তাদের গাড়ি তাদের ‘দ্বিতীয় বাড়ি’, কাজেই স্বাস্থ্যসম্মত গাড়ি বানাতে পারলে উন্নত জীবনমানের জন্য সেই গাড়ির চাহিদা বাজারে বাড়বে।
তিনি বলেন, তাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যই হবে গাড়িতে চালক ও যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপকরণ রাখা।
গিলি এখন নতুন গাড়ির চাবি ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেবার জন্য ব্যবহার করছে ড্রোন। এ ড্রোন খদ্দেরের দরজার সামনে বা ফ্ল্যাটের বারান্দায় চাবি দিয়ে আসছে যাতে ভাইরাস সংক্রমণের এ সময়ে ক্রেতাদের দোকানের কর্মীদের সামনাসামনি হতে না হয়।
২০১৫ সালে টেসলা কোম্পানির যেসব গাড়িতে দূষণ মুক্ত বাতাস ফিলটার পদ্ধতির মাধ্যমে ঢোকার ব্যবস্থা ছিল, সেসব গাড়ি চীনের বাজারে প্রচুর বিক্রি হয়েছে।
টেসলা বড় বড় শহরের বায়ু দূষণের মধ্যে চালক ও যাত্রীদের স্বস্তি দিতে ওই বিশেষ প্রযুক্তি গাড়িতে বসিয়েছিল।