ঢামেকের বার্ন ইউনিট হচ্ছে করোনা হাসপাতাল, কাল থেকে রোগী ভর্তি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দগ্ধ রোগী স্থানান্তরের কাজ শেষ হওয়ায় নতুন কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) হাসপাতাল হতে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, শনিবার (২ মে) থেকেই রোগীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে সেখানে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে সব দগ্ধ রোগী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে নেওয়া শেষ হয়েছে। ফলে শনিবার সকালে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের পাঁচতলায় থাকবে করোনা রোগীরা। সেখানে প্রায় ১০০ জনের মতো করোনা রোগীকে রাখা যাবে। আর তিন ও চারতলায় রাখা হবে সাসপেক্ট (সন্দেহভাজন) করোনা রোগীদের। দোতলায় আছে ওটি (ইমারজেন্সি ওটি ছাড়া আরও দুটি ওটি গাইনি রোগীদের জন্য), আইসিইউ ও এইচডিইউ। সবকিছুই নতুন করে প্রস্তুত করা হয়েছে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য।
তিনি আরও বলেন, এখানে মেডিসিন নিউরোসার্জারি, শিশু সার্জারিসহ প্রায় সব বিভাগের চিকিৎসকরা থাকবেন। কোভিড-১৯ রোগের পাশাপাশি অন্য কোনো রোগে ভুগতে পারেন রোগীরা। তাই তাদের কোভিড রোগের সেবাসহ অন্য রোগের চিকিৎসাও দেয়া হবে। এছাড়া হাসপাতালের নতুন ভবনটিও পরবর্তীতে করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হবে বলে জানান ঢাকা মেডিকেলের এই পরিচালক।
মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান সরকার এ বিষয়ে বলেন, হাসপাতালের পরিচালক স্যারের তত্ত্বাবধানে সবকিছু দ্রুত এগিয়ে চলছে। দোতলায় আইসিইউতে ১০টি বেড আছে ও দুটি এইচডিইউতে ৩২টি বেড। কোভিড-১৯ রোগী যাদের আইসিইউ ও এইচডিইউ প্রয়োজন হবে, দ্রুত তাদের সেখানে নেয়া হবে।