করোনা চিকিৎসায় ‘রেমডিসিভির’ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

কোভিড-১৯ ল্যাব ছবি ও রেমডিসিভির
কোভিড-১৯ ল্যাব ছবি ও রেমডিসিভির   © টিডিসি ফটো

করোনাভাইরাস চিকিৎসায় গবেষকরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। আমেরিকান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি জিলেডের তাদের উৎপাদিত ওষুধ রেমডিসিভির নিয়ে করোনাভাইরাস চিকিৎসায় বেশ আশাবাদী। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার কোভিড-১৯ চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহারে জরুরিভিত্তিতে অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং নিউইয়র্ক টাইমস পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

জিলেড বলছে, রেমডিসিভির প্রয়োগে করোনা রোগীর সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক ব্যাধি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ট্রায়াল রান দিয়ে অর্থাৎ রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে প্রাথমিক যে ফলাফল পাওয়া গেছে তাতে তিনি আশাবাদী।

তিনি আরও বলেন, ৩১ শতাংশ উন্নয়ন মানেই কিন্তু ১০০ শতাংশ নয়। কিন্তু এটি ধারণার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। এই ওষুধ ভাইসরাসটিকে আটকে দিতে পারে। 

জিলেড এখন পর্যন্ত কোন তথ্য-প্রমাণ দেয়নি। তবে তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব  অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস পরিচালিত এক পরীক্ষা বা ট্রায়াল রানের পর ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে এবং তাদের এই পরীক্ষা ‘প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে। 

ইবোলা রোগের চিকিৎসার জন্য এই অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধটি তৈরি করা হয়েছিল। তবে করোনাভাইরাস চিকিৎসায় কোনো ওষুধের অনুমতি এখনও দেয়নি যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

জিলেডের জানায়, রেমডিসিভির যত আগে আগে দেয়া যায় ততই কার্যকর। আগেভাগেই চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এমন শতকরা ৬২ ভাগ রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে। আর যেসব রোগীকে দেরিতে দেয়া হয়েছে তাদের শতকরা ৪৯ ভাগ রোগমুক্ত হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছে। 

এদিকে এ ঘোষণার আগে বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যান্সেট জানায়, চীনে রেমডিসিভিরের একটি পরীক্ষার ফল সফল হয়নি। তবে তখন যথেষ্ট রোগী না থাকায় ওই জরিপ সম্পূর্ণ হয়নি। 

গবেষকরা বলছেন, রেমডিসিভির নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে আরও বেশি কাজ করা দরকার। প্রাথমিক পরীক্ষণে দেখা গেছে- এই ওষুধ কোভিড-১৯ চিকিৎসার সময়কাল ১৫ থেকে ১১ দিনে নামিয়ে আনে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রেমিডিসিভির নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছে। 


সর্বশেষ সংবাদ