করোনায় বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: বিষণ্ণ দিন কাটছে শিক্ষার্থীদের
সারাবিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া এক ভয়াবহ দুর্যোগের নাম করোনাভাইরাস। খুব কম সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ভাইরাইসটির প্রতিষেধক না থাকায় ঘর বন্দি জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন বিশ্বের প্রায় ২৫০ কোটি মানুষ। প্রতিকার নয়, প্রতিরোধই যেহেতু সর্বোত্তম পন্থা সে হিসেবে বাংলাদেশে ভাইরাসটি হানা দেয়ার আগেই ১৭ মার্চ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
কিন্তু পরপর তিনবার ছুটির মেয়াদ বাড়ালেও প্রতিষ্ঠান খোলার মত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে না। এদিকে প্রতিষ্ঠান ছুটি থাকলেও দীর্ঘ একমাস ঘরবন্দি জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। যেখানে ৮-১০ দিনের মত লম্বা ছুটিগুলোতেও বাড়িতে কিছুদিন সময় কাটানোর পর ক্যাম্পাস জীবনকে মিস করতে হয়, সেখানে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ এক মাসের ঘরবন্দি জীবন কীভাবে কাটছে তা বোঝার অপেক্ষা থাকে না। শিক্ষার্থীদের এই এক মাসের ঘরবন্দি একঘেয়েমি জীবনের সাথে শিক্ষার দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ার দুশ্চিন্তা, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন এবং দেশের বেহাল অবস্থার মানসিক চাপ যেন বিষিয়ে তুলছে তাদের। করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সম-সাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। লিখেছেন- তানভীর আহমদ
সারাদিন ফেসবুক চালিয়ে, টিভি দেখে চলতে হয়, এক সময় এসবের মধ্যেও বিরক্ত চলে আসে। মাঝে মাঝে বই পড়ে কিছুটা ফ্রেশ মুডে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সারাদিনের এতো অবসর ভালো লাগে না। আমরা মেয়েরা যারা ঘরের কাজ করি তাদের কিছুটা সময় রান্না করা, ঘর-দোর ঘুচানো, মা-বোনদের সাহায্য করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাস্ততায় কাটে। কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে এই ব্যস্ততাটুকু থাকে না- বলছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মমতা মম।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এমন লাগলে ছেলেদের তো আরো বেশি খারাপ লাগবে। করোনার পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে একঘেয়েমি জীবন কাটাতে হবে। এভাবে প্রতিদিন সারাক্ষণ বাড়িতে থাকতে ভালো লাগে না। তবুও কিছু করার নেই। থাকতেই হবে।
কবে ভার্সিটি খুলবে সেই আশায় আছি জানিয়ে রাবির এই শিক্ষার্থী বলেন, আবার কবে গিয়ে সব বন্ধু বান্ধব একসাথে হবো, শিক্ষকদের দেখব, ক্যাম্পাসটা ঘুরবো সেই কল্পনাটাই শুধু মনের মধ্যে ঘুরছে। ক্লাস শেষে একসাথে বন্ধুরা পুকুর পাড়ে বসে গল্প করা, ফুচকা খাওয়া, টুকিটাকিতে চা পান করা এসবই মিস করছি। মনে চাইলে হুট করে বন্ধুরা মিলে বধ্যভূমিতে, টিএসসিতে, এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াতাম। প্যারিস রোডটা চোখে ভাসছে শুধু। বিরক্তিকর ক্লাসটাও মিস করছি।
সত্যিই খুব মিস করছি বন্ধুদের যারা আমার মন খারাপ হলেই হাসাবার চেষ্টা করে। সাথে মিস করছি আমার প্রিয় মানুষকে যার সাথে অনেকদিন দেখা নেই। আবার কবে দেখা হবে, একসাথে হাঁটা হবে সেই উদগ্রীবে থাকি। এতকিছুর মাঝে পরীক্ষা নিয়েও চিন্তা। ভয় হয় সেশনজট হবে কি হবে না সে বিষয়ে। আমাদের সিলেবাসের অর্ধেকটুকুও শেষ হয়নি। জানি না এই অবস্থায় পরবর্তীতে পদক্ষেপ কী হতে যাচ্ছে। দেশের এই সংকট মুহূর্তে, এই মহামারিতেও যেনো আমার সব শিক্ষক ভালো থাকে। আমার সব বন্ধু-বান্ধবী, সব শিক্ষক, আত্মীয় স্বজন, বাবা-মা, ভাই-বোন, আমার প্রিয়তম ও পরিচিত-অপরিচিত সব মানুষই যেনো বেঁচে থাকে, সুস্থ থাকে ও ভালো থাকে সেই প্রার্থনাই করি শুধু। সেজন্য আমাদের সবাইকে যতটুক সম্ভব ঘরে থাকতে হবে, পরিষ্কার থাকতে হবে ও সচেতন থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সব থেকে বেশি বন্ধু-বান্ধবী, বড় ভাই- বড় আপু, শিক্ষকদের সাথে মিলেমিশে থাকা হয়। তাদের সাথে থাকায় সময় কখন ফুরিয়ে যায় তা ঠিক বুঝা যায় না। কিন্তু হোম কোয়ারান্টাইন যেন বিষধর সাপের বিষ। তবুও বাস্তবতা মেনে নিতে হবে।
কিছুক্ষণ পরপর হ্যান্ডসেটে মেসেজ চেক করি। এই বুঝি সি আর ক্যাম্পাস খোলার মেসেজ পাঠিয়েছে। কখন খুলবে প্রাণের ক্যাম্পাস? এ বাসনা মনে জাগে সব সময়।
সবুজ-শ্যামল গোছানো ক্যাম্পাস, বন্ধু-বান্ধব, প্রিয় শিক্ষক মহোদয়, সব্জি দোকানি, চা দোকানি এবং সব চেয়ে বেশি রুমমেটদের মিস করছি।
ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে খুব খুব হতাশ হয়ে যাই। কেননা দুই-তিন মাস টানা ক্লাস-পরীক্ষা না হলে সেশনজটের গুরুতর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শিক্ষক মহোদয়গণ চাইলে এর ক্ষতি তারা পুষিয়ে নিতে পারেন। ছুটির পর টানা ক্লাস পরীক্ষা নিয়ে। শনিবার ছুটি না কাটিয়ে তারা এদিন ক্লাস -পরীক্ষা নিতে পারেন।
আমাদের দেশে প্রতিদিন করোনায় মৃত সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে নিজে বাঁচলে বাপের নাম এমন চিন্তা মাথায় রেখে সর্বোচ্চ সচেতন হতে হবে। সরকার কর্তৃক ঘোষিত সকল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। তাহলে এমন পরিস্থিতিতে আমরা টিকিয়ে থাকতে সক্ষম হব।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছর চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করছি। এখনো পর্যন্ত কোন জটের মধ্যে পড়ি নাই। ভেবেছিলাম হয়তো কোন জট ছাড়া তিন বছর যখন পার করেছি এই বছরটা ও পার হয়ে যাবে। এ বছরেই শেষ করতে পারবো গ্রাজুয়েশন। কিন্তু সেটা মনে হয় আর হয়ে উঠবে না। তার কারণ ও এই করোনাই। প্রায় একমাস হয়ে এলো ক্যাম্পাস বন্ধ রয়েছে। অন্য কোনো কারণ নয় করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশের মানুষের জীবন রক্ষা করতে সতর্কতা হিসেবে সরকারের দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই বন্ধ রয়েছে। কি-ই বা করার । ঘরে যে থাকতেই হবে, কারণ বাইরে বের হলে একে অন্যের সংস্পর্শে আসলে তখনই তো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। নিজ, পরিবার, সমাজ, দেশ তথা পৃথিবীর মানুষের জীবনের স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঘরেই থাকতে হবে।
জীবনের সমস্ত ব্যস্ততা যেন থেমে গেছে। এখন আর কোন কাজ নাই। সবসময়ই বাসায় থাকতে হচ্ছে ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক। ঘুম, খাওয়া-দাওয়া, নামাজ কালাম, অনলাইনে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস , মুভি দেখা, গান শোনা এগুলোর মধ্য দিয়েই অবসর সময় এখন পার করছি। তবে চেষ্টা করছি অনলাইন কোর্স করার। মাইক্রোসফট দক্ষতাগুলো আরো ভালো করার, ইংলিশে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছি।
হোম কোয়ারেন্টাইনের নামে সব সময় বাসায় থাকাটা আমার জন্য একটু সমস্যা হয়েই যাচ্ছে। আসলে শুধু আমার জন্য নয় বরং সবার জন্যই সমস্যা বটে। নিজের স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে পারছি না, বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়া হচ্ছে না, ক্লাস, পরীক্ষার ব্যস্ততাকে খুবই মিস করছি। চেনা পরিচিত মানুষদের সাথে দেখা হয় না অনেকদিন। বন্ধ হয়ে গেছে আড্ডাগুলা। বন্ধুদের সাথে একসাথে বসে চা খাওয়া, ঘন্টার পর ঘন্টা সময় আড্ডার মধ্য দিয়ে পার করা এসব কিছুই মিস করছি।
আবার ফিরে পেতে চাই সেই ক্লাস পরীক্ষার ব্যস্ততম দিনগুলা, ফিরতে চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে, দেখা হোক চেনা পরিচিত মানুষদের সাথে, চায়ের আড্ডায় জমে উঠুক সময় গুলো। যখন ব্যস্ততার মধ্যে সময় যায় তখন মনে হয় যেন কিছুটা সময় ছুটি হোক। কিন্তু এখন যখন এত বড় ছুটির মধ্যে আছি তখন যেন আর কিছুই ভালো লাগছে না। এমন এক ছুটি যা আমাদের ক্যারিয়ারে বেশ প্রভাব ফেলবে। এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তখন ক্লাস-পরীক্ষার চাপ হঠাৎ করেই অনেক বেশি হয়ে যাবে। দ্বিগুণেরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে সবাইকে। তারপরও চাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। সবকিছু আগের মতোই হয়ে যাক। সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে নিজের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসুক এটাই চাই।
তিনি বলেন, এই সেমিস্টার নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তা ও হচ্ছে। ভার্সিটির ফ্রেন্ড-সার্কেলের সবাইকেও খুব মিস করছি। দেখতে দেখতে অনেকদিন হয়ে গেলো; কিন্তু কারো সঙ্গে দেখা হয়না, আড্ডা হয় না।
আবার অন্যদিকে ভার্সিটির ক্লাসগুলো নিয়মিত করতে না পেরে পড়ালেখার দিক থেকে অনেক ক্ষতি ও হচ্ছে। তবে অনলাইন সাপোর্টটুকু যদি আমরা স্যার-ম্যামদের কাছ থেকে পেয়ে থাকি তাহলে কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সক্ষম হবো বলে মনে করি আমি। সবশেষে একটা কথা বলবো- বাসায় থাকুন, সুস্থ থাকুন।
অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে হয়তো শিক্ষা-কার্যক্রম কোনরকমে চলছে কিন্তু স্থগিত আছে কুইজ, প্রেজেন্টেশন, পরীক্ষাসহ অন্যান্য কার্যক্রম তাই এই সেমিস্টার কিভাবে সম্পন্ন করা হবে সে ব্যাপারে এখনো কোন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি যা সত্যিই সবাইকে দুশ্চিন্তায় নিমজ্জিত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের কোন উপায় হয়তো এখানো বের করে আনা সম্ভব হচ্ছেনা তবে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবার জন্য সকলের সম্মিলিতভাবে আন্তরিক প্রচেষ্টার কোন বিকল্প নেই।
করোনার ফলে অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ,বন্ধ হয়ে যেতে পারে অনেক কল কারখানা,আশংকা করা হচ্ছে অনেকেই হারিয়ে ফেলতে পারে তার চাকরি। দেশের এমন পরিস্থিতি জনজীবনে ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে । দুশ্চিন্তা এবং বেদনার কালো আকাশ সবাইকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। দুঃখ আর হতাশার মধ্য দিয়ে কাটছে মানুষের প্রতিটি মুহুর্ত ।
তবে এমতবস্থায় আমাদের উচিত ভেঙে না পড়ে, হতাশ না হয়ে বরং অনেক বেশি সতর্ক থাকা, নিজে নিরাপদ থাকা এবং অন্যকে নিরাপদ রাখা। যেহেতু এটা একটা বৈশ্বিক সমস্যা তাই সকলে একত্রিত হয়ে এই সমস্যার মোকাবেলা করাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পরিশেষে শুধু এটুকুই বলবো যেহেতু করোনার কোন ভ্যাক্সিন এখনো আবিষ্কার হয়নি তাই আমাদের উচিত এই অবসর সময়ে বেশি বেশি নফল ইবাদতের মাধ্যমে এই মহামারী থেকে পরিত্রাণ চাওয়া। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে- বর্তমান এই পরিস্থিতিতে দোয়ার বিকল্প অন্যকিছু নেই। এর পাশাপাশি সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করা, বাসায় অবস্থান করা, নিজে নিরাপদ থাকা এবং অন্যকে নিরাপদ রাখা। অচিরেই দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসুক, পৃথিবী ফিরে পাক তার স্বাভাবিক অবস্থা এটাই কামনা করছি।
ছুটির সময়ে আলাদা কিছু স্কিল বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। বলেন, ফেসবুক মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইংলিশ স্পোকেন ইত্যাদির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আপনারাও চাইলে আপনার সীমাবদ্ধতাগুলো খুঁজে বের করুন আর সময়টাকে কাজে লাগান। একটু একটু করে নিজের স্কিল বাড়িয়ে নিন। জানি না আল্লাহ তাআলা কবে আমাদের করোনা থেকে পুরোপুরি মুক্ত করবেন। প্রায় গত একমাস থেকে ভার্সিটি বন্ধ। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ঠিক আগমুহূর্তে এমন পরিস্থিতি সত্যিই দুঃখজনক। এদিকে আমাদের সেমিস্টার নষ্ট হওয়ার পথে। আমাদের বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটা স্টুডেন্ট খুব একটা বেশি সময় পায় না নিজেকে গুছিয়ে নিতে, এর মধ্যেই সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে যায়। অন্যদিকে বেসরকারী চাকরিতেও আত্মবিশ্বাস কমে যায়। পড়াশুনার বড় একটা গ্যাপ পরে যাওয়ায় অনেকের পড়াশোনার প্রতি আগের মতো আর আগ্রহ থাকে না।
সবমিলিয়ে সময়টা আমাদের প্রতিকূলে। এই মুহূর্তে সবার উচিত ঘরে থাকা, কোনোভাবেই ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। এর সাথে যদি কারো করোনার উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে সাথে সাথেই নির্দিষ্ট নাম্বারে কথা বলে পরীক্ষা করা। পরিশেষে বলতে চাই, যারা মুসলমান আছেন, আসুন আমরা নামাজ পড়ি, আল্লাহর অন্যান্য ইবাদত করি। আর মহান আল্লাহর কাছে এই মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দোয়া প্রার্থনা করি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে এই মহামারী থেকে রক্ষা করুন।
করোনাভাইরাসের ছোবলে নিষ্প্রাণ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো, নিষ্প্রাণ শিক্ষার্থীরাও। একঘেয়েমি বিষণ্ণ জীবন তাদেরকে বিষিয়ে তুলছে। তবুও, সবাই নিজের মতো করে ভালো থাকার চেষ্টা করছেন, বিভিন্ন উপায়ে সময় কাটানোর চেষ্টা করছেন। এতো অফুরন্ত অবসর সময় কারোরই কাম্য নয়। সবার মতো তারাও চাই একদিন সকলে মিলে আবার ফিরবে স্বাভাবিক জীবনে। ততদিনে পৃথিবী স্বাভাবিক হয়ে ফিরে আসুক স্বাভাবিক হোক তাদের প্রিয় স্বদেশ মুখে মুখে এই প্রত্যাশা। এর জন্য সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এসব শিক্ষার্থীরা।