চীনের আবিষ্কার নয়, বাদুর থেকে মানুষের শরীরে!
করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি কোথা থেকে হলো- তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা মত। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে আসে বিভিন্ন ধরনের তথ্য। এখনও এই বিষয় নিয়ে চলছে জোর চর্চা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ এই সংক্রান্ত একটি তথ্য সম্প্রতি সামনে এনেছে। সেখানে বলা হয়েছে চীনের গবেষণা অনুযায়ী এই ভাইরাসের উৎপত্তি বাদুড় থেকে। আইসিএমআর জানায়, চীনের আবিষ্কার নয়, বাদুড় থেকে সরাসরি মানুষের শরীরে সংক্রমণ হয়েছে এই ভাইরাস। অথবা বাদুড় থেকে প্যাঙ্গোলিনের শরীরে হয়েছে সংক্রমণ আর সেখান থেকেই এসেছে মানুষের শরীরে।
আইসিএমআর’র মুখ্য গবেষক ড. রমন আর গঙ্গাখেদকর জানিয়েছেন, বাদুড়ের শরীরে করোনাভাইরাসের মিউটেশন হয়, এরপরই সেটি মানব শরীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। তিনি আরও জানিয়েছেন বাদুড় থেকে প্যাঙ্গোলিনের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর প্যাঙ্গোলিন থেকেই ছড়িয়েছে মানুষের শরীরে।
ওই গবেষকরা আরও জানান এইভাবে ভাইরাসের চরিত্রবদল একটি অত্যন্ত বিরল ঘটনা। বাদুড় থেকে মানুষের শরীরে করোনা সংক্রমণের মত ঘটনা হাজার বছরে একবার ঘটে।
সম্প্রতি আইসিএমআর আরও জানিয়েছে যে, ভারতে বেশ কয়েকটি বাদুড়ের শরীরে পাওয়া গিয়েছে করোনাভাইরাস। কেরল, হিমাচল প্রদেশ, পুদুচেরি ও তামিলনাড়ু ওই বাদুড়ের শরীরে ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ।
যদিও ওই করোনাভাইরাস ব্যাট করোনাভাইরাস হিসেবেই পরিচিত। এই ভাইরাস মানব শরীরে সংক্রমণের কোনো আশঙ্কা নেই বলেই জানানো হয়েছে ওই গবেষণাপত্রে। ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। দু’ধরনের প্রজাতির বাদুড়ের শরীরে ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
গত ১৩ এপ্রিল প্রকাশিত ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়, ‘বাদুড়ের দেহে করোনাভাইরাসের সন্ধান করতে আমরা ২০১৮ ও ২০১৯ সালে পি. মেডিয়াস ও রুসেটাস প্রজাতির বাদুড়দের বেছে নেই।’
জানা গেছে, কেরালা, কর্নাটক, চণ্ডীগড়, গুজরাট, ওডিশা, পঞ্জাব ও তেলাঙ্গনা থেকে Pteropus spp. প্রজাতির বাদুড়ের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায়, বাদুড়ের দেহ থেকে সংগহীত সোয়্যাবে ৯৩.৬৯% থেকে ৯৩.৯০% করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে।-খবর কলকাতা ২৪