১৪ এপ্রিল ২০২০, ০৯:১৮

বাবাদের পিপিই লাগে না!

পিপিইহীন বাবার কোলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছেলের লাশ

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এগিয়ে আসছে না আত্মীয়-স্বজন কেউই। তাতে কী! বাবা তো আছেন। বাবাদের পিপিই লাগে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। একজন লিখেছেন, ‘বাবা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বোঝা হাতে নিয়ে আছেন; হয়ত এজন্যই পিপিই লাগছে না।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘মা-বাবা এমনিই। বিশেষ করে বাবা সন্তানের জীবনে বটবৃক্ষের মত আশ্রয়দানকারী। অথচ সংসারের অভিযোগ চিরদিন বাবাকেই শুনতে হয়। করোনা সন্তান নিয়ে গেছে, আর নেওয়ার কী আছে!’ সত্যিই তো! করোনা কলিজার টুকরোকে নিয়ে গেছে, আর কী বাকি আছে?

জানা যায়, চট্টগ্রামের পটিয়ায় করোনা ভাইরাসে এক প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। রবিবার রাত অনুমান আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

শিশুটির বয়স ৬ বছর। সে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ওসমান পাড়ার এক বাসিন্দার ছেলে। শিশুটির বাবা আবার ওমান প্রবাসী। গত দুই মাস আগ দেশে ফেরেন।

জ্বর ও পায়খানা শুরু হলে শিশুটিকে শনিবার পটিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। ডাক্তাররা নমুনা পরীক্ষা করে তার করোনা প্রজেটিভ পান। এরপর রবিবার রাতেই পটিয়া উপজেলা প্রশাসন শিশুটিকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের ডাক্তার অসীম কুমার নাথের তত্ত্বাবধানে ছিলো সে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া শিশুটির আরেকটি ছবি

 

বর্তমানে পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সম্পূর্ণ লকডাউন, ৭নং ওয়ার্ডের একটি পাড়া, পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সাব রেজিস্ট্রার বাড়ি এলাকার একটি বাড়ি, খরনা ইউনিয়নে একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা জাহান উপমা জানিয়েছেন, পটিয়াতে এক শিশুর করোনা শনাক্ত হওয়ায় কিছু এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। করোনা বিষয়ে জনপ্রতিনিধিকে প্রশাসনের পাশাপাশি এগিয়ে আসতে হবে। চট্টগ্রামের বাইরে থেকে যেসব লোক পটিয়ায় এসেছে তাদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।

ইতোমধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন প্রতিদিনেই কাজ করছে। তবে শিশুটির শরীরে কিভাবে ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে তা নিশ্চিত হতে পারেননি। জনগণকে সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।