১৪ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৫২

জ্বর সর্দি কাশিতে এত মৃত্যু অস্বাভাবিক

  © সংগৃহীত

দেশে শুক্রবার পর্যন্ত গেল ১৪ দিনে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর আগে এদের কারো করোনা টেস্ট করা হয়নি। মৃত্যুর পর তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অধিকাংশের রিপোর্ট এখনো মেলেনি।

জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায় এত মানুষের মৃত্যুর বিষয়টিকে সরকারের পক্ষ থেকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবেই দাবি করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা।

গত বুধবার রাতে টাঙ্গাইলের সখীপুরে শামসুল হক (৫০) নামে একজন ব্যক্তির মৃত্যু হয়। শামসুল হক কাকড়াজান ইউনিয়নের বড় হামিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তার নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ছালেহ আহাম্মদ (৫৫) নামে মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়ার বাসিন্দা ও স্থানীয় মাদ্রাসার আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন৷ তারও নমুনা নেয়া হয়েছে।

দেখা গেছে, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এসব উপসর্গে ভোগা রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা এ বছর বেশি।

এসব মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে দাবি করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। দেশে প্রতিদিন আড়াই হাজার মানুষ মারা যান। এখন তো হাসপাতালে রোগী কম। তাহলে তারা যাচ্ছেন কোথায়? অনেকেই বাড়িতে চিকিৎসা করতে গিয়ে মারা যাচ্ছেন। আমি বলব, কারো যদি করোনা হয় এবং তিনি যদি বাড়িতে থেকে সুস্থ থাকেন তাহলে তো ভালো। বুঝতে হবে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুম থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৯৩০ জন, যা ২০১৯ সালে ছিল ৮২০ জন, ২০১৮ সালে এক হাজার ১০ জন এবং ২০১৭ সালে ছিল ১৪১ জন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই রোগে আক্রান্ত হন ২৬ হাজার ৪৬১ জন ও ফেব্রুয়ারিতে ২৪ হাজার ৯৫০ জন। গত বছরের জানুয়ারিতে ছিল সাত হাজার ৫২০ জন ও ফেব্রুয়ারিতে চার হাজার ৪৬০। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ছিল ছয় হাজার ৭১২ জন ও ফেব্রুয়ারিতে চার হাজার ১১৫ জন।