মিসরের ইতিহাসে প্রথম তারাবি ও ইতেকাফ স্থগিত
মিসরের মসজিদগুলোতে রমজানের তারাবির নামাজ ও ইতেকাফ স্থগিত করেছে আওকাফ মন্ত্রণালয়। মিসরের ইতিহাসে তারাবি ও ইতেকাফ স্থগিতের এটিই প্রথম ঘটনা। মিসরের ধর্মীয় মন্ত্রণালয় দেশটির মসজিদে তারাবি ও ইতেকাফ আয়োজনে এ স্থগিতাদেশ জারি করে।
মিসরের আল-আজহার ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইলেকট্রনিক ফতোয়া বোর্ড জানিয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে যদি ডাক্তাররা দিনের বেলা করোনা সংক্রমিত কিংবা সংক্রমণের আশঙ্কায় থাকা রোজাদার ব্যক্তির মুখ ভিজিয়ে রাখার প্রয়োজনীয়তা মনে করেন, তবে রমজান মাসে তাদের জন্য রোজা ভাঙার ব্যাপারেও তারা মত দেন।
সৌদি আরবেরও কোনো মসজিদেই এবার রমজানে জামাতে তারাবির নামাজ পড়া হবে না। নিজ নিজ ঘরে তারাবির নামাজ পড়তে মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার। সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
সৌদি গেজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে দেশটির ইসলামবিষয়ক মন্ত্রী শেখ ড. আব্দুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আশ-শেখ শিগগিরই মহামারি দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘শুধু তারাবির নামাজ নয়, মসজিদে জামাতে নামাজ আপাতত বন্ধ রাখাই জরুরি। মসজিদে হোক, ঘরে হোক আল্লাহ সর্বশক্তিমান যেন তারাবির নামাজ কবুল করেন, আমরা সে দোয়াই করি। কারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যই ঘরে নামাজ পড়া।’
অন্যদিকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি শনিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বলেছেন, ‘করোনার কারণে এ বছর আসন্ন রমজান মাসে আমরা সম্মিলিত ইবাদত থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছি। কিন্তু মহান আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনেরও সুবর্ণ সুযোগ পেতে যাচ্ছি। কাজেই এ বিষয়ে উদাসীন থাকা উচিত হবে না।’