চিকিৎসা দিতে অপারগতা, ৬ চিকিৎসক বরখাস্ত
কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ঢাকার কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালের ৬ চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক আদেশে সংবাদকর্মীদের এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বরখাস্ত ৬ চিকিৎসক হলেন- হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (এ্যানেসঃ) ডাঃ হীরম্ব চন্দ্র রায়, মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফারহানা হাসানাত, মেডিকেল অফিসার ডাঃ উর্মি পারভিন, মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাওসার উল্লাহ, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ শারমিন হোসেন এবং আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মুহাম্মদ ফজলুল হক।
গত ৯ এপ্রিল কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসাপাতারের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ সেহাব উদ্দিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালককে চিঠি দিয়ে জানান যে, এই ছয় চিকিৎসক কোভিড-১৯ কেন্দ্রে সেবা প্রদান করছেন না।এছাড়া চিকিৎসক, নার্স, ৩য় ও ৪র্থ শ্রণীর কর্মকর্তা/কর্মচারিগণ পদায়ন হওয়া স্বত্তেও অনেকেই যোগদান করেন নাই বলেও চিঠিতে জানো হয়। এর প্রেক্ষিতে আজ শনিবার (১১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মোঃ বেলাল হোসেন সাক্ষরিত আলাদা দুটি আদেশে সংশ্লিষ্ট ৬ চিকিৎসককে বরখাস্তের কথা জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য পদায়ন করা হলেও কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের টেলিফোনিক নির্দেশে চার চিকিৎসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
জানা যায়, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থিসিওলজি) ডা. হীরম্ব চন্দ্র রায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে যোগ দেয়ার পর থেকে অনুপস্থিত আছেন। মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা ১৫ ফেব্রুয়ারি যোগদানের পর থেকে অনুপস্থিত। তিনি অবশ্য এরই মধ্যেই ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। মেডিকেল অফিসার ডা. উর্মি পারভিন ৩১ মার্চ যোগদানের পর থেকে অনুপস্থিত। মেডিকেল অফিসার ডা. কাউসার উল্লাহ ২১ মার্চ যোগদানের পর থেকে অনুপস্থিত।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরেক আদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় অনিচ্ছা প্রকাশ করায় কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের আরো দুই চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরা হলেন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. শারমিন হোসেন এবং আরপি (মেডিসিন) ডা. মুহাম্মদ ফজলুল হক।