১০ এপ্রিল ২০২০, ২০:১১

শুধু সামাজিক দুরত্ব নয় শারীরিক দুরত্ব নিশ্চিত করুন: আইডিসিআর

  © টিডিসি ফটো

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দ্রুত বিস্তার লাভ করছে করোনভাইরাস। এটি নিরাময়ে নির্দিষ্ট কোন ওষুধ না থাকায় ব্যাপক হারে সামাজিক দুরত্বের কথা বলা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে একটু সংশোধনী দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর)।

আজ শুক্রবার প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, করোনা কোনো ভেদাভেদ মানছে না। ধনী, গরিব সবাই আক্রান্ত হচ্ছে। হাতের মাধ্যমে বা বিভিন্ন ব্যবহার্য জিনিষের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। এটি বাতাসে বেশিক্ষণ ভেসে থাকতে পারে না।

এ তথ্য জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) সানিয়া তাহমিনা বলেন, এ কারণে শারীরিক দুরত্বের কথা বলা হচ্ছে। লকডাউন বা কোয়ারেন্টিনকে সামাজিক দুরত্ব বলা হলেও এটা আসলে সামাজিক দুরত্ব না। আমরা নিশ্চিত করছি শারীরিক দুরত্ব। একজনের আরেকজন থেকে কমপক্ষে তিন ফুট শারীরিক দুরত্বে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ‘বাসার বাইরে তো অবশ্যই, বাসার ভেতরেও এটা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে যারা বাইরে থেকে কাজ করে বাসায় ফিরছেন তাদেরকে এটা নিশ্চিত করতে হয়। তারা বাসায় ফিরে যেন নির্দিষ্ট নিয়মগুলো মেনে চলে। বার বার সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।’

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৯৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গেছেন। নতুন করে মারা গেছেন ছয় জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২৪ জনে। আর মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। বৃহস্পতিবার নতুন করে আক্রান্ত হয় ১১২ জন। মৃত্যু হয় একজনের।

আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মারা যাওয়া ছয় জনের মধ্যে পুরুষ পাঁচ জন এবং নারী একজন। এরমধ্যে ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের দু’জন, ৭০ থেকে ৮০ বছরের এক জন এবং ৯০ বছর বয়সী একজন রয়েছেন।

তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে শনাক্ত হওয়া ৯৪ জনের মধ্যে ৬৯ জন পুরুষ ও ২৫ জন নারী। এরমধ্যে ১০ বছরের নিচে চার জন, ১১ থেকে ২০ বছরের ছয় জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ১২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১৪ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১৩ জন।

নতুন শনাক্তদের মধ্যে ৩৭ জনই ঢাকার। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ১৬ জন এবং বাকিরা অন্যান্য জেলার।