করোনাকে কীভাবে হারালেন, জানালেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র
করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ভারতের মুম্বাইয়ের হৃষি গিরিধর ‘লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিকস’-এর পড়ুয়া। নিজের অভিজ্ঞতার কথা তিনি জানিয়েছেন ‘হিউম্যানস অফ বম্বে’-কে।
কেমন করে কলেজে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়েছিল সেকথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা বেশ ভয়ের ব্যাপার ছিল কেননা এলএসই-তে (লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিকস) ৪৫টি বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা পড়ত। সকলেই শীতকালীন ছুটির পর কলেজে জয়েন করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘তখনই শোনা গেল আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। আর তারপর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে গেল।’ ঋষি বাড়ি ফিরে আসেন। এবং নিয়ম মেনে তিনি নিজেকে কোয়ারান্টাইনে রাখেন। কিন্তু দ্বিতীয় দিন থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসম্ভব ক্লান্ত লাগছিল। আর সেই জ্বর ও শরীরজুড়ে ব্যথা।
প্রথম প্রথম ভেবেছিলেন ক্লান্তি ও অবসাদের কারণে হচ্ছে। কিন্তু পঞ্চম দিন মূর্ছিত হয়ে পড়ার পর বাবা-মা’কে সবটা জানান ঋষি। তাঁকে কস্তুরবা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেখা যায় তিনি করোনা পজিটিভ। হৃষি জানাচ্ছেন, খবরটা পেতেই তাঁর বুক খালি হয়ে গিয়েছিল।
কেমন ছিল পরের দিনগুলো? হৃষি জানাচ্ছেন, হাসপাতালের দিনগুলোর কথা। এক নার্স তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল দেখে রসিকতা করে বলেন, হৃষির উচিত সকলকে গিটার বাজিয়ে শোনানো।
হৃষি জানান, ‘বিশ্বাস করুন বা না করুন, হাসপাতালের পরিবেশ ছিল আনন্দময়। তার প্রভাব ওয়ার্ডের সকলের উপরেই পড়েছিল। আমি ভাল অনুভব করতে শুরু করি। পঞ্চম দিনের পর আমার সমস্ত লক্ষণগুলো মিলিয়ে গেল। কিন্তু আমি ওষুধ, ভিটামিন নিতে থাকি। সেই সঙ্গে বিশ্রাম।’
হৃষি এখন করোনাভাইরাসকে হারিয়ে দিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়ার আগে আরও একবার পরীক্ষা করা হবে তাঁকে। ঋষি জানান, ‘আমার বন্ধুবান্ধব ও পরিবার ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না। কিন্তু তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসকরা ও নার্সরা আমাকে সব দিয়েছে। ওষুধ থেকে খাবার থেকে বিশ্রাম ও সঙ্গ। বলতে গেলে সব কিছু।’
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে শেয়ার হওয়ার পর থেকেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। বহু কমেন্ট জমা পড়ে। অনেকেই শেয়ার করেন পোস্টটি। খবর: এনডিটিভি।