করোনাভাইরাসে প্রাণ গেছে ৫৩ বাংলাদেশির
বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। এতে ৯ দেশে মোট ৫৩ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সারাবিশ্বে ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮৩১ জন। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাত লাখ ৮৬ হাজার ৫৪৫ জন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে মারা গেছেন ৫ জন। এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৪৯ জনের শরীরে। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৯ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৫ জন। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সর্বশেষ এ তথ্য জানিয়েছেন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৩০ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। নিউইয়র্কে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে সিংহভাগ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ইউরোপের দেশ ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার দেশটির উত্তরাঞ্চল মিলানের একটি হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়। এর আগে গত সপ্তাহে গোলাম মাওলা (৫৫) নামে একজন মারা যান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সৌদি আরবেও এক বাংলাদেশি মারা গেছেন। তিনি মদিনার আল জাহরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাসে যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত ১১ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। সবশেষ ২৯ মার্চ লন্ডনের এনফিল্ডের একটি হাসপাতালে মো. সোহেল আহমেদ (৫০) নামে এক বাংলাদেশি মারা যান। আর শনিবার কিং জর্জ হাসপাতালে মারা যান আনোয়ারা বেগম চৌধুরী (৬৫)।একইদিন আলম আশরাফ আকন্দ (৫০) মারা যান।
শুক্রবার ম্যানচেস্টারে মারা যান সাঈদ হোসেন জসিম (৬৫) নামে এক বাংলাদেশি। ওইদিন লন্ডনে মো. মনির উদ্দিন (৬০) নামের একজন মারা যান। এর আগে বুধবার মারা গেছেন হাজী ফখরুল ইসলাম। গত মঙ্গলবার মারা যান খসরু মিয়া (৪৯)। গত ২৩ মার্চ মৃত্যু হয় টাওয়ার হ্যামলেটসের স্যাটেল স্ট্রিটের বাসিন্দা হাজী জমশেদ আলীর (৮০)।
১৬ মার্চ মারা যান যুক্তরাজ্যে সফররত মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মাহমুদুর রহমান (৭০)। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে মারা যান টাওয়ার হ্যামলেটসের রেহান উদ্দিন (৬৬)। আর গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ম্যানচেস্টারে বসবাসরত ৬০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি।
করোনাভাইরাসে স্পেনের মাদ্রিদে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মাদ্রিদে বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে করোনাভাইরাসে দিলীপ দেব (৫৫) নামে এক বাংলাদেশি মারা গেছেন।
এর বাইরে করোনাভাইরাসে লিবিয়ায় একজন ও গাম্বিয়ায় একজন করে বাংলাদেশি মারা গেছেন। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।