করোনায় মৃত এক মুসলিমের জানাজার চিত্র
ছবিটি একজন মুসলমানের জানাজার। বার্মিংহামের প্রতিবেশী টাউন ওয়ালসালের স্ট্রিটলি ক্রেমিটেরিয়ামের। ওয়ালসালের প্লেইক এলাকার বাসিন্দা বাশারত হোসেন। ৬৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তি সাত সন্তানের জনক। মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় হার্টল্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ২৭ মার্চ স্ট্রিটলি ক্রেমিটেরিয়ামের খুব সংক্ষিপ্ত পরিসরে জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়। সেখানে পরিবারের সদস্য ও দুয়েকজন আত্মীয় তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানায়।
কিন্তু সংক্ষিপ্ত আয়োজনের জানাজা তার পরিবারের সদস্য ও কমিউনিটিকে খুবই বেদনার্ত করেছে।
তার পরিবারের সদস্য ও কমিউনিটি নেতারা জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময় হলে এবং সরকারের তরফে বর্তমান পরিস্থিতিতে সুরক্ষা নিষেধাজ্ঞাগুলি কার্যকর না হলে বাশারত হোসেনের জানাজায় আত্মীয়স্বজনসহ হাজারো লোকের সমাবেশ গড়তো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কেবল পরিবারের সদস্য ও কয়েকজন ঘনিষ্ট আত্মীয় মিলে মাত্র ১৫ জন তার জানাজায় অংশ নিয়ে শেষ বিদায় জানাতে পেরেছে। যারা জানাজায় অংশ নিয়েছেন তাদের দাঁড়াতে হয়েছে নির্দিষ্ট দূরত্ব রক্ষার নিয়ম মেনে। এই ১৫ জনের উপস্থিতির জন্যও নিতে হয়েছে কাউন্সিলের অনুমতি।
ইউনিয়ন অব মুসলিম অর্গানাইজেশন (ইউএমও) এর অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যান ও বাশারত হোসেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মোহাম্মদ আরিফ বলেছেন ‘কাউন্সিল অফিসাররা উপস্থিতি সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি করার অনুমতি দিয়েছিলেন। ইউএমওর পক্ষ থেকে আমরা পরিবারের নিকটতম সদস্যদের জানাজায় অংশ নিতে সহায়তা করার জন্য ন্যূনতম সংখ্যা বিধি শিথিল করায় বেরিভেমেন্ট সার্ভিসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সেই সঙ্গে লোকজন ঘরে অবস্থান করে ফোনে মরহুমের পরিবারের খোঁজ নিয়ে সরকারি নির্দেশনা রক্ষা করায় আমরা ধন্যবাদ জানাতে চাই। এছাড়া মরহুমের পরিবারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই কারণ তারা সরকারের বিধি মেনে উপস্থিতি কমাতে সহযোগিতা করেছে। তারা চায়নি এখানে শোক প্রকাশ করতে এসে অন্য কোনো পরিবার শোকগ্রস্ত হোক’।
ওয়ালসাল কাউন্সিলের সাবেক কাউন্সিলর আরিফ বলেন, ‘বাশারাত ছিলেন একজন প্রকৃত ভদ্রলোক, খুব শান্ত মানুষ এবং বার্চিলস মসজিদে মণ্ডলীর নিয়মিত সদস্য ছিলেন। ১৯৭৫ সালের শেষদিকে বাশারত আমার ক্রিকেট দলের ওপেনিং বোলার ছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে তাঁর বাইপাস অপারেশন হয়েছিল।’