যথাসময়ে চিকিৎসা ও সচেতন হলে বাত রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব : অধ্যাপক নজরুল
যথাসময়ে চিকিৎসা, সঠিক পরিচর্যা ও সচেতন হলে বাত ব্যথা রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যদিও এর চিকিৎসা দীর্ঘদিন ধরে নিতে হয়। তাই ধৈর্য ধারণ করে রোগিদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। কোমর ও বাত ব্যাথায় আক্রান্ত রোগিদের নিয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমেটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার মডার্ন ওয়ান স্টপ আর্থ্রারাইটিস কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টার ও প্রফেসর নজরুল রিউমেটোলজি ফাউন্ডেশন এন্ড রিসার্চ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের শিল্পী কুঞ্জে দিনভর এই অনুষ্ঠানে বাত ব্যথায় আক্রান্ত রোগিরা তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। পাশাপাশি চিকিৎসা পরবর্তি সময়ে শারীরিক পরিস্থিতি নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন। এসময় আর্থ্রাইটিস কেয়ার রিসার্চ সেন্টারের পক্ষ থেকে রোগিদের নানা পরামর্শ দেন। রোগিদের হাতে ধরে কিভাবে শারীরিক পরিচর্যা করতে হবে তাও দেখিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রফেসর নজরুল রিউমেটোলজি ফাউন্ডেশন এন্ড রিসার্চের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে দুই থেকে তিন ভাগ নারী পুরুষ কোমর ও বাত ব্যথায় ভুগছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যথাসময়ে চিকিৎসা ও সচেতনতার অভাবে এই রোগে আক্রান্ত অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়ে। যা দেশের জন্যও ক্ষতিকর।
তিনি বলেন, যথাসময়ে চিকিৎসা ও সচেতন হলে বাত ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মডার্ন ওয়ান স্টপ আর্থ্রারাইটিস কেয়ার সেন্টার গত চারবছর ধরে বাত ব্যথায় আক্রান্ত রোগিদের জন্য এমন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলেও জানান তিনি। আগামী দিনে এই কার্যক্রমকে আরো বিস্তৃত করার ঘোষণা দেন অধ্যাপক নজরুল। তিনি বলেন, ডাক্তার ও রোগি হলো আত্মার আত্মীয়। আমরা এই বিশ্বাস তৈরী করতে চাই। রোগিদের রোগের কথা ভুলিয়ে দিতে হবে।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরে এর চেয়ারম্যান বলেন, বাত ব্যথার রোগিদের যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা নিতে হয় তাই এদের কল্যাণের লক্ষ্যে এ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা। এসময় তিনি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একজন রোগিকে হুইল চেয়ার প্রদান ও রোগিদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স কেনারও ঘোষণা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব আনোয়ারা বেগম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (অর্থ) মো. আবদুস সোবহান, বিসিএসআইআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. পিজুস কান্তি বিশ্বাস প্রমুখ। রোগি ও চিকিৎসকদের নিয়ে বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলার আয়োজনের পর সবশেষ ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।