আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার শুধু আশ্বাস দিলে হবে না: উপদেষ্টা নাহিদ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এনেও চিকিৎসার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আহতদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় কোথাও কোনো অবহেলা করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। যারা দুর্নীতি করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের শুধু আশ্বাস দিলে হবে না, তাদের সুচিকিৎসায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আহতদের চিকিৎসায় যত টাকা লাগবে সরকার তা বহন করবে। সরকারের সেই সক্ষমতা আছে।
আহতদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদানের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, তাদের চিকিৎসায় সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে, যেন তাদের দ্বিতীয়বার সরকারের কাছে আসতে না হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন, তাদের অনেকেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। তিনি মানসিকতাভাবে বিধ্বস্তদের মানসিক কাউন্সিলিং প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, আহতদের চিকিৎসা সেবাকে রুটিন কাজ হিসাবে বিবেচনা করা যাবে না। তিনি আহতদের চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে আহত ব্যক্তিগণ তাদের চিকিৎসার অগ্রগতি বিষয়ে অবহিত করেন। তারা উন্নত চিকিৎসা ও কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। সভায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৬০ জন ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন।