১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:০৫

ছাত্রী ও কিশোরীদের এইচপিভি টিকাদান শুরু ২৪ অক্টোবর

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সারা দেশে ছাত্রী ও কিশোরীদের টিকাদান কর্মসূচি  © ফাইল ফটো

নারীদের যত ধরনের ক্যান্সার হয়, এর মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যানসার অন্যতম। বাংলাদেশে প্রতিবছর জরায়ুমুখের ক্যানসারে হাজার হাজার নারী আক্রান্ত হন এবং মৃত্যুবরণ করেন। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সারা দেশে ছাত্রী ও কিশোরীদের টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দেশের ৭ বিভাগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আগামী ২৪ অক্টোবর। ক্যাম্পেইন চলবে চার সপ্তাহ ধরে।

বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভির সহায়তায় এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের এই টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের জন্য ২৪ অক্টোবর থেকে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত নয়, এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সের কিশোরীদের এই টিকা দেওয়া হবে ৬ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।

এরপর ১৪ নভেম্বর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্থায়ী ক্যাম্পে ১৮ কর্মদিবস পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলবে। সেখানে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী অথবা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভির (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হবে।

শুরুতে ঢাকা বাদে এ কার্যক্রম ৭টি বিভাগের নির্দিষ্ট বয়সী ও নির্ধারিত শ্রেণিতে অধ্যয়নরত কিশোরীরা www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে টিকাকার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। পরে ওই কার্ড দেখিয়ে টিকার ডোজ গ্রহণ করা যাবে।

জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) থেকে। আর এটি প্রতিরোধে এক ডোজ টিকা গ্রহণের মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি ভায়ালে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ থাকে, যা দুইজন কিশোরীকে দেওয়া হবে। এটি এক ডোজের টিকা, যা মাংসপেশিতে দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ১৩১ দেশে হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাস টিকা দেয়া হয়েছে আর সারভিক্স টিকাটি ২৪টি দেশে দেয়া হয়েছে।

দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভির কর্মকর্তারা জানান, ব্যাপক পরিসরে এই কর্মসূচির বাস্তবায়ন বাংলাদেশে সব মেয়ের সুস্বাস্থ্য ও বিকাশ নিশ্চিত করতে এবং দেশে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে দারুণ সহায়ক হবে। জীবন রক্ষায় সাহায্যকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই টিকা তৈরিতে সহযোগিতা করতে পেরে গ্যাভি গর্বিত।

এরই মধ্যে এই টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা করা হচ্ছে। ইউনিসেফ-বাংলাদেশও তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বিষয়টি জানিয়েছে।