স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুড়ে যাওয়া গাড়ি সরবে কবে?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গত ২৫ জুলাই মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরোনো ভবনে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। এই ঘটনার প্রায় দেড় মাস হতে চললেও এখনো সরানো হয়নি আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়িগুলো। এর ফলে অফিসে যাতায়াতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন স্বাস্থ্যের দুই বিভাগের কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরোনো ভবনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের বাইরে আগুনে পোড়া ২০টি গাড়ি আগের জায়গাইতেই রয়েছে। এছাড়া পাঁচ থেকে ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেই গাড়িগুলোও সরানো হয়নি। আগুনে পোড়া এবং ভাঙা গাড়িগুলোর সঙ্গেই নিজেদের গাড়ি রাখছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পোড়া গাড়িগুলো দ্রুত অধিদপ্তর থেকে সরানো হবে। আমরা গাড়িগুলোকে অকেজো ঘোষণা করে দিয়ে সেগুলো সরিয়ে নেব। এজন্য চিঠি প্রস্তুত করা হচ্ছে। চিঠি অনুমোদন হলে শিগগিরই গাড়িগুলো সরানো হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরোনো ভবনটি ৬ তলা বিশিষ্ট। প্রথম তলায় আবেদন জমা নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দলায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের চিকিৎসা শাখার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার অফিস। তৃতীয় তলায় একই অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুম রয়েছে। চতুর্থ-পঞ্চম এবং ষষ্ঠ তলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফাইলপত্র রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মহাখালীর টিবি হাসপাতালের সঙ্গে অবস্থিত নতুন ভবনে অফিস করেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নানা কারণে অনেক বিদেশী নাগরিক আসেন। এছাড়া এই দপ্তরের ভেতর দিয়ে আরও অনেক অফিসে যাওয়া যায়। সেখানেও বিদেশী নাগরিকরা যাতায়াত করেন। পোড়া গাড়িগুলো না সরানোর কারণে বিদেশীদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অধিদপ্তরের পোড়া গাড়িগুলো সরানোর জন্য একাধিকবার বলা হয়েছে। তবুও অজানা কারণে এগুলো সরানো হচ্ছে না। ভবনে প্রবেশের মূল ফটকের সামনে পোড়া গাড়ি থাকায় কর্মকর্তারা এখানে গাড়ি নিয়ে আসতে পারেন না। এর ফলে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভবনটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হলেও এখানে তাদের কোনো কর্মকর্তা অফিস করেন না। কেবল নথিপত্র রাখেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা শাখার পরিচালক, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেলের সহকারী পরিচালকরা অফিস করেন। পোড়া গাড়িগুলোর কারণে তাদের অফিস করতে নানা সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। এখানে অনেক বিদেশী যাতায়াত করেন। তাদের কাছে আমাাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।