‘স্কুল শিক্ষকদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে দক্ষ হতে হবে’
মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বর্তমান পরিস্থিতি এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব শীর্ষক জাতীয় সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত হোটেল লেকশোরে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং এডিডি ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে এই সিম্পোজিয়ামটি অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজনটিতে সহযোগী হিসেবে ছিলেন ডিজেএবেল চাইল্ড ফাউন্ডেশন, ইনোভেসশন ফর ওয়েলবিং ফাউন্ডেশন ও নাসিরুল্লাহ সাইকোথেরাপি ইউনিট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, এডিডি ইন্টারন্যাশনালের এশীয় অঞ্চলের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহজাবীন হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, ডিজেএবেল চাইল্ড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাসরিন জাহান, এডিডি ইন্টারন্যাশনালের প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল হারুন প্রমুখ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহজাবীন হক বলেন, স্কুলের শিক্ষকদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। কেননা তাঁদের হাতেই শিক্ষার্থীরা তৈরি হয়। তাই শিক্ষকরা যাতে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারে এই লক্ষ্যে তাদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা উচিত।
এসময় এডিডি ইন্টারন্যাশনালের প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, 'শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারটা সবার আগে জরুরি। সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। এবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে। আমরা আগেও স্কুলগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক ক্যাম্পেইন করেছি। এটা আমরা চলমান রাখবো।'
এই সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা ও সমন্বিত উদ্যোগে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সকল স্তরে সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আলোচনা করা হয়। এই সিম্পেজিয়ামের উপস্থাপনা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের আলোচনার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সরকারি-বেসরকারি কার্যক্রম সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আয়োজন করা হয়।
মানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা ও মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন উদ্যোগকে শক্তিশালী করার জন্য সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্ব বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে বলে জানান বক্তারা। মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন ও এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা, ওয়ার্ল্ড হেলথ এ্যাসেম্বলি সহ সকল বিশ্ব ফোরামে সরকার কর্তৃক ঘোষিত অঙ্গীকার ও সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।