তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক এড়াতে ১০ পরামর্শ
তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। অন্যদিকে রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে।
এমন গরমে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি বেশি থাকে। এছাড়াও সর্দি–কাশি, পেটের পীড়াসহ অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: তীব্র দাবদাহে সুস্থ থাকতে হিট অফিসারের ৫ পরামর্শ
তীব্র গরমে পরামর্শ দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ শুভাগত চৌধুরী বলেন, ‘ঋতু বদলের কারণে এ সময় হতে পারে বিভিন্ন রোগ। যেমন: সর্দি–কাশি, জ্বর ও পেটের পীড়া। ঠান্ডা–গরমের তারতম্যের কারণে এসব রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া তাপমাত্রার পার্থক্যের জন্য হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই তীব্র গরমে বেশি তেল মশলাযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।’
তিনি আরও জানান, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এ সময় অনেকের হিট স্ট্রোক হতে পারে। তাই এই সময় তৃষ্ণা না পেলেও পানি পান করতে হবে। ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার আগে পানি পান করা ভালো। আবার ফিরে আসার কিছুক্ষণ পর পানি পান করুন। রোদের তীব্রতা বেশি থাকলে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে সকাল ১০টার পর এবং বিকেল ৪টার আগে ঘর থেকে বের না হওয়া ভালো।
গরম থেকে রক্ষা পেতে যে কাজগুলো করতে পারেন
১. ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন
২. শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি পান করতে হবে
৩. বাড়ির বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন
৪. স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি শরীর সজীব রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পান করুন।
৫. গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি তাজা জুস পান করতে পারেন।
৬. মাংস এড়িয়ে বেশি করে ফল ও সবজি খান।
৭. প্রস্রাবের রঙ খেয়াল করুন। প্রস্রাবের গাঢ় রঙ পানি স্বল্পতার লক্ষণ। এমন হলে বেশি বেশি পানি পান করুন।
৮. সব সময় পানির বোতল, টুপি, ছাতার মতো জিনিসপত্র সাথে রাখুন।
৯. ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে, কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন অথবা সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
১০. চেষ্টা করুন যেন দিনে কম বাইরে যেতে হয়।
পানি পান করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন। আমরা অনেকেই রাস্তার পাশে অস্বাস্থ্যকর পানি দিয়ে বানানো শরবত পান করে থাকি। এর থেকে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। ডায়রিয়ার জীবাণু ছড়ানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হচ্ছে পানি। তাই যে পানিই আপনি পান করবেন, তা যেন বিশুদ্ধ পানি হয়।