করোনা রোধে কারিগরি কমিটির চার বিষয়ে সতর্কতা
বিশ্বে আবার চোখা রাঙানি দিচ্ছে করোনাভাইরাস। চীনসহ বিভিন্ন দেশে আশঙ্কাজনক হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় করোনা মোকাবিলায় কারিগরি পরামর্শক কমিটি চার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্বে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশের করণীয় শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় এই চার সুপারিশের কথা জানান তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
আহমেদুল কবির বলেন, চীন-ভারতসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে আবারও করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগব্যবস্থা চালু আছে৷ অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়া করছে। এ অবস্থায় করণীয় ঠিক করতে রোববার জাতীয় কারিগরি কমিটির বৈঠক ছিল। কমিটি চারটি বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিয়েছে।
তিনি বলেন বলেন, করোনা সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্টে সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হলো— টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য এটির ভয়াবহতা অনেক বেশি। তাই যারা টিকা নেয়নি, তাদের দ্রুত নিয়ে নেওয়ার জন্য কারিগরি কমিটি সুপারিশ করেছে।
এছাড়া সেকেন্ড বুস্টার ডোজের (চতুর্থ ডোজ) প্রচার বৃদ্ধির বিষয়েও বলেছে কমিটি। যারা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার, প্রেগন্যান্ট নারী ও ষাটোর্ধ্বদের দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ দ্রুততম সময়ে নিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
‘দ্বিতীয় সুপারিশ হলো যাদের কোমরবিডিটি রয়েছে, তাদের অবশ্যই প্রটেকটিভ কেয়ার যেমন— মাস্ক ব্যবহার করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকার বিষয়ে কারিগরি কমিটি থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, কারিগরি কমিটির সভায় তৃতীয়ত যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা হলো— বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ সব পোর্টে পরীক্ষা জোরদার করা।
রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ইতোমধ্যে বিভিন্ন পোর্টে চিঠি দিয়েছেন, বিমানবন্দর, স্থলবন্দর থেকে শুরু করে সব জায়গায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের অ্যান্টিজেন টেস্ট করে তাদের আইসোলেট করা বা তাদের নির্দেশনা দেওয়া।
এ ছাড়া যেসব দেশে করোনা বিস্তার হচ্ছে, সেসব সন্দেহভাজন দেশ থেকে যারা আসবেন, তাদের মধ্যে উপসর্গ থাকলে দ্রুত পরীক্ষার আওতায় এনে যেকোনোভাবে এটিকে প্রতিহত করা, যাতে নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনা আমাদের দেশে না ঢুকতে পারে।