২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:১৬

জানুয়ারির মধ্যেই সব বই পাবে শিক্ষার্থীরা

জানুয়ারির মধ্যেই সব বই পাবে শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেছেন, নতুন বছরের প্রথমদিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই চলে যাবে। তবে পুরোপুরি বই পাবে জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় এনসিটিবির অডিটোরিয়ামে পাঠ্যপুস্তকের সফট কপি ওয়েবসাইটে আপলোডকরণ উদ্‌বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব রফিকুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের। তিনি বলেন, বইয়ের কোয়ালিটি গতবছরের তুলনায় এবার অনেকটা ভালো হয়েছে।

এ ছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভিন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে তোলা সংশ্লিষ্ট সবার কঠোর পরিশ্রমে কাজটা প্রায় শেষ পর্যায়ে এসেছে। জানুয়ারির ১ তারিখের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ বই চলে যাবে। বাকিটা জানুয়ারির মধ্যে চলে যাবে।

গণশিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, অনুষ্ঠানে প্রায় সবাই সফলতার কথা বলেছেন। তবে এর পেছনে অনেক গল্প রয়েছে। বিশাল কাজ করতে গেলে কিছু ত্রুটি থাকতে পারে। আমাদের পাঠ্যপুস্তকগুলো শিশুদের জন্য উপযোগী হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে এনসিটিবিকে মনোযোগ দিতে হবে। এনসিটিবির গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তিক, মানে বইগুলো বাচ্চাদের উপযোগী হচ্ছে কিনা সেদিকে মনোযোগ দেবে। এতে পাঠ্যবই বাচ্চাদের জন্য উপযোগী হয়ে উঠবে। 

শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবার পর থেকেই পাঠ্যবইয়ের কাজটা কঠিন ছিল। লো কোয়ালিটি ও ভুলসম্পন্ন বই শিক্ষার্থীদের হাতে না দিতে আমরা কাজ করেছি। নির্ভুল পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে দিতে আমরা কাজ করেছি। অনেক রিপোর্ট পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, আবার অনেক রিপোর্ট ভালো হয়েছে। এতে আমরা প্রেসে গিয়ে পদক্ষেপ নিতে পেরেছি। তাছাড়া পত্রিকায় রিপোর্ট হওয়ার পর বইগুলোর ছাপার কাজগুলো করতে সমন্বয় করতে হয়েছে। না হলে ডিসেম্বরের ৭/৮ তারিখের মধ্যে বইয়ের কাজ শেষ করতে পারতাম। 

তিনি আরও বলেন, ২২ জানুয়ারির মধ্যে বই দেওয়ার কথা থাকলেও তাদের অনেকেই ইতোমধ্যে বই সরবরাহ করেছে। তাই তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমার ওপর অনেক চাপ ছিল, বিদেশি প্রতিষ্ঠানসহ অনেকের আমার ওপর চাপ ছিল। কিন্তু আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যথাসময়ে বইয়ের কাজ শেষ করতে পেরেছে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনসিটিবি, প্রকাশনা সংস্থার সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।