ঝুলে গেল নতুন পে স্কেল
দীর্ঘ ১১ বছর পর গঠিত পে কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্ত নিয়ে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা পার করছেন কমিশন সংশ্লিষ্টরা। তবে রোববার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের এক বক্তব্যে বুক ভেঙেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। উপদেষ্টা বলেছেন, নতুন পে স্কেলের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার। সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক এবং অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সালেহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন সরকারি চাকরিজীবীদের অনেকে। তারা চাইছেন, বর্তমান সরকারই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিক। ইতঃপূর্বে ১৫ ডিসেম্বরের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন কর্মচারীরা। এখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পে স্কেল কার্যকরের দাবিতে পদক্ষেপ নেবেন তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে এমপ্লয়িজ লীগের (বিআরএল) সভাপতি আক্তারুজ্জামান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবি রাখব, অন্তর্বর্তী সরকারি নতুন পে স্কেল ঘোষণা করুক। পরবর্তী সরকারের কাছে এ সিদ্ধান্ত গেলে সেটি দীর্ঘায়িত হবে। ১১ বছর ধরে কর্মচারীরা যে অপেক্ষা করেছে, সেটি অপেক্ষাই থেকে যাবে; দুঃখ-কষ্টও বাড়বে।’
বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আরও কয়েকটি কর্মচারী ফেডারেশন ও সমিতির নেতারা। সরকারের এমন ঘোষণার পর নিজেদের সদস্যদের নিয়ে সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন সেক্রেটারিয়েট সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আব্দুল খালেকও।
এর আগে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পে স্কেল ঘোষণা নিয়ে শঙ্কার কথা জানানো হয়। কর্মচারীদের মধ্যে সংখ্যা ছিল, পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্লেষকেরাও বলেছিলেন নতুন পে স্কেল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সরকারের কাছেই গড়াতে পারে। তাদের মতে, এই সরকার কমিশন গঠন করেছে, কমিশন সুপারিশ করবে কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য নির্বাচিত সরকারের কাছেই দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে।