০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৩০

নতুন পে স্কেলে সরকারি ব্যয় বাড়বে ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকা, অর্থের যোগান হবে কীভাবে?

পে স্কেল  © টিডিসি সম্পাদিত

সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করতে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন পে কমিশনের সদস্যরা। গত ৩০ অক্টোবর বিভিন্ন সমিতি ও অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষ করেছে কমিশন। এখন সব প্রস্তাব ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত সুপারিশের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।

পে কমিশন সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নতুন স্কেলে বেতন দ্বিগুণ হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে পে স্কেল না পেয়ে কর্মজীবীরা একাধিকবার আন্দোলনেও নেমেছেন। এখন বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিতে তৎপর চাকরিজীবীদের সংগঠনগুলো।  

সূত্র আরও জানায়,  নতুন স্কেল অনুযায়ী কর্মজীবীদের বেতন-ভাতা দিতে সরকারকে গুনতে হবে বাড়তি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ ছিল প্রায় ৮২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার কোটি। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ইনক্রিমেন্টসহ এই ব্যয় বেড়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮৪ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। তবে নতুন পে স্কেল কার্যকর করতে হলে বাড়তি টাকা লাগবে সরকারের। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, বেতন-ভাতা দ্বিগুণ করা হলে বছরে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে। এছাড়া, গড়ে ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলেও প্রায় ৭০-৭৫ হাজার কোটি এবং ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি করলে প্রায় ৬৫-৭০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। এই অতিরিক্ত টাকার যোগান দিতে সরকারের বেগ পেতে হতে পারে। 

পে কমিশনের একাধিক সদস্য দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সরকার সুপারিশ চাওয়ার পাশাপাশি কোন খাত থেকে টাকার যোগান আসবে সেটাও স্পষ্ট করতে বলেছে। ফলে রাজস্ব সংগ্রহ না বাড়লে অতিরিক্ত বেতনভাতা দিতে সরকার হিমশিম খাবে।

কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুণ করার জন্য সরকারের ট্যাক্স সংস্থা যদি কার্যকরভাবে দায়িত্ব নেয়, তবে এটি সম্ভব। দেশের প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি মানুষকে আয়কর আওতায় আনা গেলে অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। এছাড়া ধনী ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভ্যাট ফাঁকি প্রতিহত করা এবং সরকারি নীতি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহে সরকারের কোনো সমস্যা হবে না।  সার্বিক বিষয়টা হচ্ছে বাংলাদেশে দুর্নীতি এবং ধনিক শ্রেণি রাষ্ট্র থেকে যেসব সুযোগ পাচ্ছে, সেগুলো নিয়মের আওতায় এনে এই সমস্তগুলা যদি কড়াকড়ি করে যে না আর সুযোগ না দেওয়া হয়, তাহলে সরকার সুন্দরভাবে নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে পারবে।  ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী, ঢাবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক মনে করেন উচ্চহারে বাড়ালে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তার প্রভাব পড়বে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেতন উচ্চহারে বাড়ালে বাজেটের অভাবে নতুন পদ সৃষ্টি হবে না। শূন্য পদগুলোতেও নিয়োগ হবে না।  

তিনি আরও বলেন, বেতন বাড়লে শুধু মূল বেতন নয়, বোনাস ও পেনশনও বাড়বে। তাই এটি এক বছরের বিষয় নয়, দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো দরকার, কিন্তু সব খাতেই সমানভাবে নয়—সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বেতন বাড়ানোর পাশাপাশি দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রশাসনিক জটিলতা ও ব্যয় কমাতে হবে। সরকারকে দেখতে হবে কোথায় বিনিয়োগ কমিয়ে এই অর্থের সংস্থান করা যায়।

তবে বেতন বাড়ালে সরকারের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে না বলে মনে করেন একই বিভাগের আরেক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী। দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন, বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ আছে। গত ১০ বছরে পে কমিশন গঠন হয়নি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে— বাংলাদেশ সরকারের যে আর্থিক অবস্থা সেই অনুযায়ী যদি দ্বিগুণ বেতন বাড়ানো হয়, তাহলে ব্যয় কত বাড়বে?  

এই ব্যয় বহন করতে বর্তমান বাজেট দ্বিগুণ করে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না বলেও মনে করেন ড. সাহাদাত। তার মতে, বেতন-ভাতা দ্বিগুণ হলে সরকার আয়করের মাধ্যমে অনেক টাকা ফেরত পাবে। সর্বনিম্ন বেতনভোগী একজন সরকারি কর্মচারীদের বিশাল একটা গোষ্ঠী ট্যাক্স ব্র্যাকেটের মধ্যে চলে যাবে। তাহলে অনেক রেভিনিউ কালেকশন থেকে হবে। প্রকৃতপক্ষে বেতন দ্বিগুণ করলে সরকারের উপর খুব বেশি চাপ পড়বে না। তারপরেও যদি ধরি আসলে যে পরিমাণ বাজেট বাড়বে, সেই অনুযায়ী সরকারের আর্থিক সক্ষমতা নেই। যদি দ্বিগুণ হয় তখনও ঘাটতি প্রায় ৪০ শতাংশ। সেই ক্ষেত্রে সরকারের উৎসটা কী? এটা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, যদি ৫০০ কোটি টাকা টাকাও অতিরিক্ত খরচ হয়, তাহলে অতিরিক্ত এই টাকা কোথা থেকে আসবে? প্রথমত বাংলাদেশের সরকারকে ধার করতে হবে, তবে ধারের যে অবস্থা সরকার এখন এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছে। আবার যদি ব্যাংক থেকে ধার করতে হবে, কিন্তু ব্যাংকের যে আর্থিক অবস্থা তাতে এটাও সম্ভব না। প্রাইভেট বিনিয়োগ ১৮ বছরের পিছনের দিকে চলে গেছে, অতএব বিনিয়োগটা আবার বাধাগ্রস্ত হবে। তাহলে বিকল্প হিসেবে সরকার কি টাকা ছাপাবে? যদি সরকার ছাপায় তাহলে সেটাও মূল্যস্ফীতি বাড়ার সুযোগ তৈরি হবে। তার মানে বেতন যতটুকু বাড়বে, সেটা আবার মূল্যস্ফীতি খেয়ে ফেলবে। এখন যে মূল্যস্ফীতি আছে, বেতন বাড়ানোর পর যদি মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুণ করার জন্য সরকারের ট্যাক্স সংস্থা যদি কার্যকরভাবে দায়িত্ব নেয়, তবে এটি সম্ভব। দেশের প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি মানুষকে আয়কর আওতায় আনা গেলে অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। এছাড়া ধনী ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভ্যাট ফাঁকি প্রতিহত করা এবং সরকারি নীতি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহে সরকারের কোনো সমস্যা হবে না।  সার্বিক বিষয়টা হচ্ছে বাংলাদেশে দুর্নীতি এবং ধনিক শ্রেণি রাষ্ট্র থেকে যেসব সুযোগ পাচ্ছে, সেগুলো নিয়মের আওতায় এনে এই সমস্তগুলা যদি কড়াকড়ি করে যে না আর সুযোগ না দেওয়া হয়, তাহলে সরকার সুন্দরভাবে নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে পারবে।

বেতন-ভাতা দ্বিগুণ করা হলে বছরে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে। এছাড়া, গড়ে ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলেও প্রায় ৭০-৭৫ হাজার কোটি এবং ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি করলে প্রায় ৬৫-৭০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। এই অতিরিক্ত টাকার যোগান দিতে সরকারের বেগ পেতে হতে পারে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বর্তমানে অর্থনীতি যে অবস্থায় আছে, এই লেভেলে যদি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ করা হয়, সেটা বহন করা এই সরকারের পক্ষে সম্ভব না। আগে আমাদের অর্থনীতিতে ধস নেমেছিল, এখন কিছুটা উন্নত। নির্বাচিত নতুন সরকারের জন্যও এই ব্যয় বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। এটা আসলে নির্ভর করবে আমাদের ট্যাক্স কালেকশন তার ওপর হবে কিনা। কিন্তু এখন যে ধরনের অর্থনৈতিক অবস্থা বা রেভিনিউ জেনারেশন হচ্ছে এই পরিস্থিতিতে ৭০-৭৫ শতাংশ বাড়ানোটা পারমিট করবে না। নির্বাচিত সরকার আসলেও চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে। আমরা কিন্তু দেখেছি যে যারা এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা তাদের বাড়ি ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়াতে দাবি করেছিলেন, কিন্তু সরকার ৫ শতাংশ দিয়ে শুরু করেছে, তারপরেও শেষ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ দিয়েছে কিন্তু সেটাও আবার একটা শর্ত দিয়ে যে আমরা এখন ৭.৫ শতাংশ আর বাকিটার পরের অর্থবছরে দেয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত থেকেই আমরা কিন্তু অর্থনীতির অবস্থাটা বুঝতে পারছি যে সরকারের যে সক্ষমতা কেমন। 

পে কমিশন ৮০-৮৫ শতাংশ বেতন-ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ করলেও সরকারের বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল ইসলাম। তার মতে, কমিশন ৮০-৮৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিলেও আগামী সরকারের পক্ষে বাস্তবায়ন করা অর্থনীতি অ্যাফোর্ড করতে পারবে না, যদি না আমরা মানে এখন অর্থনীতি মিরাকেল হয়। এটা মানে আমার কাছে মনে হচ্ছে অস্বাভাবিক। তবে আমি নিশ্চিত কমিশন যে প্রস্তাব করবে, সরকার তা সক্ষমতা অনুযায়ী অর্থমন্ত্রণালয় সঙ্গে কথা বলে বেতন কাঠামো পুনর্গঠন করবে।

নতুন পে স্কেল কার্যকর করা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি কর্মচারীদের চাপের মুখে রয়েছে বলেও মনে করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, এখন তারা ইতোমধ্যে বলেছেন— আমরা ছয় মাসের মধ্যে কমিশন সুপারিশ দেবে এবং অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, আগামী বছর আমাদের আমলেই নতুন স্কেল কার্যকর করে। সরকার একদিকে যেমন নির্বাচনের বিষয়গুলো নিয়ে প্রচণ্ড রকমের চাপের মধ্যে আছে, আবার কর্মচারীদের কাছ থেকেও বেতনভাতা বৃদ্ধি নিয়ে বহুমুখী চাপের মধ্যে আছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার উন্নয়ন বাজেটে কাটছাঁট করতে পারে। সেক্ষেত্রে উন্নয়ন বাজেট যদি কমিয়ে আনা যায়, তাহলে অতিরিক্ত ব্যয় বহন করা সহজ হবে। কিন্তু সরকার যদি উন্নয়নের সাথে নেগোশিয়েট করে সেটাও আবার মানুষ মানতে চায় না। বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, মানুষ উন্নয়ন চায় দ্রুতগতিতে আবার তাদের বেতন-ভাতাও বেশি করতে চায়।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ ছিল প্রায় ৮২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার কোটি। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ইনক্রিমেন্টসহ এই ব্যয় বেড়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮৪ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা।

যদিও এই সরকারের আমলে নতুন স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ রয়েছে আইনুল ইসলামের। তার কথায়, এই পে কমিশন প্রস্তাব দিলেও আমার মনে হয় রাজনৈতিক কৌশলও থাকতে পারে। সরকার আলোচনা করে হয়তো বাস্তবায়নের দায়িত্ব আগামী সরকারের কাছেই ঠেলে দিতে পারে। তখন বলা হবে, এই জিনিসটা বাস্তবায়ন করবে আগামীর নির্বাচিত সরকার। শেষ মুহূর্তে এসে এরকম সিদ্ধান্ত আসতে পারে। কারণ সময় খুবই কম। ফেব্রুয়ারিতে যদি নির্বাচন হয় কমিশনের মেয়াদ আছে ফেব্রুয়ারি ১৪ তারিখ পর্যন্ত। প্রত্যেকেরই কিন্তু একটা কৌশল আছে, সরকার যেমন তার একটা কৌশলে কাজ করবে রাজনৈতিক দলগুলোরও কৌশল আছে। রাজনৈতিক কৌশল এমন হতে পারে যে, আসলে আলোচনা করে কিংবা অন্যভাবে এই সময়টা পার হয়ে যাবে। আলোচনা করতে করতে হয়তো দেখা যাবে, নির্বাচন চলে আসবে তখন আমরা সবাই নির্বাচনের দিকে মনোযোগী হবো। সবাই ভোটার এবং নির্বাচনের উপর গুরুত্ব দেবে। ফলস্বরূপ এটা আসলে নির্বাচিত সরকারের কাছেই চলে যেতে পারে বলে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য যে ভিসা রেস্ট্রিকশন আসছে, আমাদেরকে অনেক দেশ আপাতত ভিসা দিচ্ছে না বা কমিয়ে দিচ্ছে। এটাও কিন্তু আমাদের অর্থনীতিতে একটা বড় প্রভাব। আমাদের একজন কর্মী যখন বিদেশে যান তিনি কিন্তু দেশে রেমিট্যান্স পাঠান, সেই অর্থ রিজার্ভে যোগ হচ্ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট দেশগুলোও ভিসা বন্ধ করে দিচ্ছে। শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত আমাদের যে অন অ্যারাইভাল ভিসার পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ভিসা নিতে বলছে। আমাদের পাসপোর্টের র‍্যাঙ্কিংও কিন্তু কমে গেছে। পাসপোর্ট যদি কোয়ালিফাই না করে আমরা অর্থনৈতিক জায়গা থেকে আরো পিছিয়ে পড়বে। তাই কমিশন সুপারিশ করলেই সরকারের সেটা না দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে সক্ষমতার আলোকে নতুন স্কেল দেওয়া উচিত।