২১ মে ২০২৫, ১৮:২৫

‘আমাকে যদি বিদেশি নাগরিক বলা হয়, কালকে তারেক রহমানকেও বলবে’

ড. খলিলুর রহমান  © সংগৃহীত

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বিরোধী দলের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অভিজ্ঞতা থাকলেও তিনি কখনোই সে দেশের নাগরিক ছিলেন না। তিনি দাবি করেন, তার একমাত্র নাগরিকত্ব বাংলাদেশের, এবং কোনো বিদেশি পাসপোর্ট কিংবা দ্বৈত নাগরিকত্ব তার নেই।

তিনি বলেন, “শুধু যুক্তরাষ্ট্রে থেকেছি বলে যদি আমাকে বিদেশি বলা হয়, তাহলে তারেক রহমান সাহেবকেও একই যুক্তিতে সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। আমি অনুরোধ করব—দায়িত্বশীলভাবে কথা বলুন। আমাকে যেটা আমি নই, সেটা বানিয়ে উপস্থাপন করবেন না।”

বুধবার (২১ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে ড. খলিলুর রহমান বলেন, “আমি যুক্তরাষ্ট্রে আমার পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেছি ঠিকই, কিন্তু আমার কখনোই মার্কিন পাসপোর্ট ছিল না। আমি শুধু বাংলাদেশেরই নাগরিক, এবং সেটিই আমার একমাত্র পরিচয়।”

বিএনপির এক নেতার মন্তব্যের জবাবে ড. খলিল বলেন, “আপনারা যদি আমাকে নিয়ে ঢিল ছুড়েন, সেটা কিন্তু অন্য দিকেও গিয়ে লাগতে পারে। আমি আমার নাগরিক অধিকার নিয়ে কথা বলছি। এটি সম্মান না পেলে তা অত্যন্ত দুঃখজনক হবে। অনুগ্রহ করে এই অপপ্রচার বন্ধ করুন।”

প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে খুলনায় এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেন, “সরকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে একজন বিদেশি নাগরিককে নিয়োগ দিয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তাবিষয়ক পদে বিদেশি কেউ থাকতে পারেন না। সরকারকে হয় তাকে অপসারণ করতে হবে, না হলে তিনি নিজে পদত্যাগ করুন।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “এই ব্যক্তি বাংলাদেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্রে জড়িত। আমরা তা মেনে নেব না।”

এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ড. খলিলুর রহমান তার বক্তব্যে প্রমাণ চেয়ে বলেন, “যদি কেউ মনে করেন আমি বিদেশি নাগরিক, তাহলে নির্দ্বিধায় আদালতের দ্বারস্থ হোন। ভিত্তিহীন অভিযোগে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দেশের স্বার্থের পরিপন্থী।”