১৩ মে ২০২৫, ১৯:৫৬

এনবিআর বিলুপ্তির ব্যাখ্যা দিল সরকার, অধ্যাদেশ বাতিল চেয়ে আন্দোলন

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি  © সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে ফেলা হচ্ছে কেন তা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে সরকার। তবে ভেঙে দিয়ে এর পরিবর্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুটি পৃথক সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্তের অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়ে তিন দিনের কলম বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেল ৪টার দিকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার সময় এ ঘোষণা দেন তারা।

কর্মসূচিতে অংশ নেন ৩০০ থেকে ৪০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ সময় বক্তব্য দেন কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, যুগ্ম কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা ও যুগ্ম কর কমিশনার (কাস্টমস) ফজলে এলাহি। 

আন্দোলনকারীরা বলেন, এনবিআর সংস্কার পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদনকে মূল্যায়ন করা হয়নি। এই অধ্যাদেশ শিগগিরি বাতিল করতে হবে। এইজন্যই আগামী বৃহস্পতি ও শনিবার এম্পিয়ারের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা কলম বিরতি পালন করবে।

ঐক্য পরিষদের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন অতিরিক্ত কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি) সাধন কুমার কুন্ডু। তিনি বলেন, বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং বৃহস্পতি ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এ বিরতি চলবে। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, রপ্তানি কার্যক্রম ও বাজেট প্রণয়ন সংক্রান্ত কার্যক্রমকে কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়েছে।

আরো পড়ুন: বিশেষ বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা কত নম্বরে? লিখিত হবে কি?

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এনবিআর বিলুপ্ত করার লক্ষ্য সম্পর্কে এ ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে এনবিআর রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত মাত্র ৭ দশমিক ৪ শতাংশ; এটি এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন। বিশ্বে কর-জিডিপির গড় অনুপাত ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ। এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি মালয়েশিয়ায় এই অনুপাত ১১ দশমিক ৬ শতাংশ। দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে অন্তত ১০ শতাংশ কর-জিডিপির অনুপাত অর্জন করতেই হবে।

প্রেস উইং জানায়, কর-জিডিপির অনুপাতের এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআর পুনর্গঠন জরুরি। একই সংস্থা করনীতি প্রণয়ন এবং সেই নীতির বাস্তবায়ন করবে—এ অবস্থান সাংঘর্ষিক। সেই সঙ্গে এটা ব্যবস্থা হিসেবে অদক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে দেশের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে আসছেন, নীতি প্রণয়নে রাজস্ব আহরণকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে; ন্যায়বিচার, প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা উপেক্ষা করা হয়েছে।