চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনের দাবিতে স্মারকলিপি, যে আশ্বাস দিলেন উপদেষ্টা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৬ PM , আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৬ PM

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কেন্দ্রীয় সংগঠক সাদিক কায়েম। আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ সচিবালয়ে উপদেষ্টার কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করেন তিনি।
স্মারকলিপি প্রদানকালে সাদিক কায়েমের সঙ্গে ছিলেন ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ প্ল্যাটফর্মের মুখপাত্র রায়হান উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠক তারেকুজ্জামান, অ্যাক্টিভিস্ট ফরহাদ শাকিব এবং হোটেল রয়েল বীচের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আনোয়ার।
স্মারকলিপিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বর্তমান অব্যবস্থাপনা ও যানজট, দুর্ঘটনার ঝুঁকি, এবং পর্যটন বান্ধব যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। এতে আটটি মূল দাবি উত্থাপন করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে—প্রায়োরিটি ভিত্তিতে ৬ লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ, দুর্ঘটনাপ্রবণ বাঁকগুলোর নকশাগত পরিবর্তন, পৃথক এক্সপ্রেস ও ধীরগতির যানবাহনের জন্য লেন চালু, পর্যাপ্ত ট্র্যাফিক পুলিশ নিয়োগ, স্মার্ট ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন, মহাসড়কের সংস্কার ও প্রশস্তকরণ, লবণবাহী ট্রাক চলাচলের জন্য আলাদা নীতিমালা এবং পর্যটন মৌসুমে মোবাইল কোর্টসহ বিশেষ ব্যবস্থার জোরদার।
এছাড়াও হাটবাজার ও জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ওভারপাস ও আন্ডারপাস নির্মাণের দাবি জানানো হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবির জবাবে উপদেষ্টা ফওজুল কবির বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার কাজটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। তবে আমরা ইতোমধ্যে স্বল্পমেয়াদে সড়কের বিপজ্জনক বাঁকগুলোকে প্রশস্ত করার নির্দেশনা দিয়েছি।
তিনি আরও জানান, লবণ পরিবহন নিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি ছয় লেন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে এবং অচিরেই এই পদক্ষেপ দৃশ্যমান হবে।
উল্লেখ্য, পর্যটন ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ত এ মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করার দাবি দীর্ঘদিনের। স্থানীয় জনগণ ও পর্যটকরা এই রুটে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও দ্রুত যাতায়াত নিশ্চিতের জন্য সরকারের কাছে বারবার দাবি জানিয়ে আসছেন।