বিমসটেক যুব উৎসব আয়োজনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটভুক্ত (বিমসটেক) দেশগুলোর তরুণদের মধ্যে সম্পৃক্ততা বাড়াতে একটি যুব উৎসব আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তিতে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মণি পাণ্ডেকে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
আজ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্মেলনের শেষে মহাসচিব ইন্দ্র মণি পাণ্ডে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিমসটেকের পরবর্তী ঢাকা সম্মেলনে আলাদাভাবে যুবসমাবেশ আয়োজনের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘যখন বিমসটেক নেতারা মিলিত হবেন, তখন আমাদের তরুণদের জন্য একটি পৃথক সম্মেলন আয়োজন করা উচিত। এটি সদস্য দেশগুলোর যুবসমাজকে একত্রিত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিমসটেকের উচিত একটি যুব উৎসব আয়োজন করা, যেখানে প্রতিটি দেশ ভূমিকা রাখবে ও একটি দেশ নেতৃত্ব দেবে। এই আয়োজন তরুণদের মধ্যে সংযোগ আরও গভীর করবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মণি পাণ্ডে বলেন, ‘এটি চমৎকার একটি উদ্যোগ! আমরা এগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেব।’
প্রধান উপদেষ্টা বিমসটেক মহাসচিবের কাছে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) আলোচনা সম্পর্কেও জানতে চান। এ বিষয়ে মহাসচিব জানান, ২১ বছর ধরে কোনো বাণিজ্য ও বাণিজ্যমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি, সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল ২০০৪ সালে। তিনি বলেন, ‘এ দীর্ঘবিরতির পর বাণিজ্যমন্ত্রীদের বৈঠক আয়োজনের জন্য আমরা কাজ করছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বিমসটেকের কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ করতে বার্ষিক সভার ক্যালেন্ডার প্রস্তুতেরও নির্দেশ দেন। আজ অনুষ্ঠিত বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে সাতটি সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের শেষে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বিমসটেকের চেয়ারম্যান পদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেন।