১৪ মার্চ ২০২৫, ২০:৩৮

বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে উপকৃত হতে পারে সেভেন সিস্টার্স: প্রধান উপদেষ্টা

ড. মুহাম্মদ ইউনূস  © ফাইল ফটো

বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ৭টি রাজ্য উপকৃত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপু্রে কক্সবাজারে নবনির্মিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজের অগ্রগতি ও সবশেষ পরিস্থিতি পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় বিমানবন্দর সম্পর্কে একটি সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজারের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে প্রত্যাশা তাদের। বিমানবন্দরটি চালু হলে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি উড়োজাহাজ ওঠা-নামা করবে। 

পরে বেলা আড়াইটায় খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রকল্পের কাজ ৮২ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান। কারণ তাদের একটি সমুদ্র আছে, যা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ করে।

সামুদ্রিক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের একটি সমুদ্র আছে। ব্যবসার জন্য সমুদ্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের একটি দীর্ঘ সমুদ্রতীর রয়েছে এবং চট্টগ্রামের সমুদ্রতীরের যেকোনো স্থানে সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা সম্ভব।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কক্সবাজারে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটি কেবল একটি পর্যটন শহরই নয়, বরং অর্থনীতিরও কেন্দ্র।

নেপাল ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সের কোনো সমুদ্র নেই উল্লেখ করে ড. ইউনূস পারস্পরিক সুবিধার্থে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

তিনি লবণ উৎপাদনকারীদের কাছে জানতে চান, বিদেশি আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে আগ্রহী কি না। কেননা কক্সবাজারের কৃষকদের উৎপাদিত লবণ এখন রপ্তানি করার সক্ষমতা রয়েছে।

তিনি পাইলট ভিত্তিতে কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি বায়ুশক্তির (বায়ুপ্রবাহের শক্তি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন) সম্ভাবনা সম্পর্কে খোঁজ নেন।

স্থানীয় জনগণকে ভবিষ্যতে সুযোগগুলো কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কক্সবাজার অর্থনীতির একটি বৃহৎ শক্তি এবং এটি তথ্যপ্রযুক্তিরও একটি শহর হতে পারে। তিনি স্থানীয় জনগণের কাছে তাদের ওপর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চান।