খুলনার ১১ সরকারি বিদ্যালয়ের ১০টিতেই নেই প্রধান শিক্ষক
খুলনার শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। অথচ ২০১৮ সাল থেকে প্রধান শিক্ষক নেই এই বিদ্যালয়ে। এ ছাড়া সরকারি ইকবাল নগর স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই ২০১৭ সাল থেকে। একই অবস্থা আরও অন্তত সাতটি সরকারি বিদ্যালয়ের। সহকারী প্রধান শিক্ষকের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা মহানগরীতে ১১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ১০টিতেই প্রধান শিক্ষক নেই। খুলনায় ১১টি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৩ হাজারের মতো শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় এসব বিদ্যালয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে তৈরি হচ্ছে অচলাবস্থ। অবশ্য এসব প্রতিষ্ঠানে দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এদিকে অনেক স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদও খালি রয়েছে। এতে ক্লাস নেওয়ায়ও সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। সহকারী প্রধান শিক্ষকেরা দায়িত্ব পালন করায় নেতৃত্ব সংকটও দেখা দিচ্ছে।
আরো পড়ুন: সৌন্দর্যের লীলাভূমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মিনি সুন্দরবন’
প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকারী সহকারী প্রধান শিক্ষকেরা বলেন, দুই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বেশি কাজ করতে হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদী কাজও করা যায় না।
এ ধরনের জটিলতার জন্য পদোন্নতি জটিলতাকে দায়ী করছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খোন্দকার রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘পদোন্নতি জটিলতার কারণে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি আসলে দীর্ঘসূত্রিতায় পড়ে গেছে। এখন যারা আছেন, তারা পদোন্নতি পেলে শূন্যস্থান পূরণ হবে।
প্রধান শিক্ষক নিয়ে জটিলতার বিষয়টি স্বীকার করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় প্রধান শিক্ষকের বিরাট ঘাটতি রয়েছে। সেটি মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি।’