২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:০১

আসন খালি থাকলে বেসরকারি স্কুলে সরাসরি ভর্তি

স্কুলে ভর্তি  © সংগৃহীত

কোনো স্কুলের আসনই শূন্য না রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় । এজন্য ডিজিটাল ভর্তি লটারিতে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পায়নি, এবার তাদেরও ভর্তির সুযোগ দিবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন খালি থাকলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা সেই আসনে ভর্তি হতে পারবে। তবে এ সুযোগ শুধুমাত্র বেসরকারি বিদ্যালয়ের জন্য। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এর আগে ডিজিটাল ভর্তি লটারির আগে অনেক অভিভাবক সন্তানের স্কুলে ভর্তি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। একাধিক অভিভাবক জানিয়েছিলেন, অনেকে সন্তানের ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেননি। তাদের সন্তানরা এখন কোথায় যাবেন। তবে নতুন এ প্রক্রিয়ায় উন্মুক্তভাবে শিক্ষার্থীরা বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে পারবে।

আরও পড়ুন- যেভাবে হবে স্কুলে ভর্তির লটারি

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, অনেকে ভর্তি প্রক্রিয়ায় আবেদন করেনি। বিষয়টি আমিও জেনেছি। তবে সব বিদ্যালয়ে ভর্তি শেষ হওয়ার পর সবাইকে সুযোগ দেওয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) ফৌজিয়া জাফরীন বলেন, যারা আবেদন করেও লটারিতে ভর্তির সুযোগ পায়নি, তারা আসন খালি থাকা স্কুলে সরাসরি গিয়ে ভর্তি হতে পারবে। অনলাইনে ভর্তির আবেদন করেনি, তারাও এ সুবিধা পাবে। সর্বশেষ যেসব স্কুলে আসন শূন্য রয়েছে, সেই তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে চাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারিতে নির্বাচিত ২ লাখ ৭৬ হাজার শিক্ষার্থী

দেশে এবারই সরকারি ও বেসরকারি উভয় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনলাইনে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য দুই লাখ ৭৬ হাজার ৬৪১ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়। কেন্দ্রীয় লটারিতে যুক্ত হওয়া সারাদেশের দুই হাজার ৯০৭টি স্কুলে ভর্তির জন্য ৯ লাখ ৪০ হাজার ৮০৭ শূন্য আসনে সাত লাখ ১৪ হাজার ৮২১টি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পছন্দক্রম অনুসারে আবেদন এসেছে। এতে মোট তিন লাখ ৬৮ হাজার ৭০৭ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। এর মধ্যে দুই লাখ ৭৬ হাজার ৬৪১ শিক্ষার্থী বেসরকারি স্কুলের প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। তবে আবেদন করেও এক লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থী কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পায়নি। মাউশি সূত্র জানিয়েছে, লটারিতে অংশ নিয়েছে এমন স্কুলে এখনও ছয় লাখ ৬৪ হাজার ১৬৬টি শূন্য আসন রয়েছে।