দেশে ৭.৮৬ মিলিয়ন শিক্ষার্থী শিখন ঘাটতির ঝুঁকিতে আছে
মহামারি করোনায় দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় একঘেয়েমি মনোভাব, মানসিক বিপর্যস্ততা ও হতাশাগ্রস্থের কারণে শিখন ঘাটতির ঝুঁকিতে থাকা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। দেশে ৭ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন শিক্ষার্থী শিখন ঘাটতির ঝুঁকিতে আছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
আজ সোমবার (১৮ অক্টোবর) পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গর্ভনেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) যৌথ জরিপে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান জানান, এদের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৩ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৩ দশমিক ৯০ মিলিয়ন। যা দেশের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ২২ শতাংশ ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ৩০ শতাংশ।
চলতি বছর আগস্ট মাস থেকে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এর আগে, মার্চে করা পিপিআরসি এবং বিআইজিডির আরেকটি যৌথ গবেষণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, শিখন ঘাটতির ঝুঁকিতে থাকা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
মার্চের জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ১ বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কমপক্ষে ৫ দশমিক ৯২ মিলিয়ন শিক্ষার্থী শিখন ঘাটতির ঝুঁকিতে আছে।
শিখন ঘাটতির ঝুঁকিতে থাকাদের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৩ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ২ দশমিক ৫০ মিলিয়ন।