উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হবে স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড কনজারভেশন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২১, ০৬:৩৩ PM , আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২১, ০৬:৩৩ PM
দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কর্মমুখী শিক্ষা নিয়ে আসছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)। একইসঙ্গে সময়ের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলমান শিক্ষা প্রোগ্রামগুলো ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তিবান্ধব করতে শিগগিরই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিবিড় প্রশিক্ষণ দিতে বছরব্যাপী কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও দেশের প্রয়োজনে বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনে ‘স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড কনজারভেশন’ নামের নতুন বিষয় নিয়ে আসছে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, উন্মুক্ত শিক্ষার বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামগুলোকে বিশ্বমানের করে তোলার জন্য উন্মুক্ত ও দূরশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তিতে সংযুক্ত। তাই উন্মুক্ত শিক্ষার বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামগুলোকে বিশ্বমানের করে তোলার জন্য সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষা কার্যক্রম প্রয়োজন অনুযায়ী ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
দেশের প্রয়োজনে বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনে ‘স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড কনজারভেশন’ নামের নতুন বিষয় নিয়ে আসছে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, 'দেশের প্রয়োজনে প্রয়োগিক জ্ঞান অর্জনে ‘স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড কনজারভেশন’ কোর্স চালু করা হবে। ডিগ্রি ও মার্স্টাস যেভাবে পরিচালিত হবে, সেভাবে এটি পরিচালিত হবে। উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি কোর্সটি চলবে।'
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনলাইনে শিক্ষা প্রোগ্রাম আরও বাড়ানো হবে। এভাবে প্রবাসীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের যোগ্যতা বাড়ানো হবে।’
কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োজনে বিভিন্ন শর্টকোর্স বা ডিপ্লোমা চালুর বিষয়ে উপাচার্য ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে গণমুখী, কর্মমুখী শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারী, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীকে শিক্ষার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। নারী ও ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের ক্ষুদ্র ব্যবসা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা কিংবা চাকরির ব্যবস্থা নিতে মূল কারিকুলামের সঙ্গে বিভিন্ন শর্টকোর্স চালু করা হবে।