২৪ মে ২০২১, ১৯:৫৭

নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের নিয়োগের বিষয়ে এনটিআরসিএ ও আইনজীবীদের বৈঠক

এনটিআরসিএ  © লোগো

১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ সুপারিশ নিয়ে আইনজীবী, এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ ও অ্যাটর্নি জেনারেলের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪মে) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে এ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে চাকরি প্রত্যাশিদের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান, মোহাম্মাদ ছিদ্দিক উল্লা মিয়া, ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ ও আইনজীবী জাফর সভায় অংশ নেন।

নিয়োগ চেয়ে রিটের প্রেক্ষিতে প্রায় দেড় হাজার চাকরিপ্রার্থীকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করার নির্দেশনা দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালতের সে আদেশ এনটিআরসিএ অমান্য করেছে বলে চাকরি প্রত্যাশীরা একটি আদালত অবমাননার মামলা করেছেন। যেটি শুনানি চলছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ৩১ মে দিন নির্ধারণ আছে। একই সাথে আদালত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসিএ প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেন। 

সোমবার বেলা সাড়ে ৩টায় মিটিং শুরু হয়ে শেষ হয় সাড়ে ৪টার দিকে। ঘন্টাব্যাপী এ মিটিংয়ে ১ম থেকে ১২তম সনদধারীদের চাকরির সুপারিশ কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে ব্যাপারে আলোচনা হয়। কিন্তু আলোচনায় কোনো সমাধান আসেনি। সর্বশেষ আইনজীবীরা এ বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। 

গত ৭ মার্চ একটি রায় দেন হাইকোর্ট। তাতে বলা হয় ১৫ দিনের মধ্যে এসব নিয়োগ প্রত্যাশীদের দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ। কিন্তু আদালতের আদেশ প্রতিপালনে ব্যার্থ হলে চাকরি প্রত্যাশীরা আদালত অবমাননার মামলা করেন। সে মামলা শুনে ৭ দিনের মধ্যে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করার পাশাপাশি এনটিআরসিএর ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এখন পর্যন্ত সে স্থগিতাদেশ বহাল আছে। আগামী ৩১ মে এ বিষয়ে আদালতে আবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

সেদিন চাকরি প্রত্যাশি, এনটিআরসিএ ও অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে একটি নির্দেশনা চাওয়া হবে। নির্দেশনাটি হবে নিবন্ধনধারী কিভাবে নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ। ইতোমধ্যে আদালত সনদধারীদের নিয়োগ দিতে যে সুপারিশ করেছে।

এদিকে এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সভায় তারা অ্যাটর্নি জেনারেলের সামনে উপস্থাপন করেছেন তারা আদালতের আদেশ অমান্য করেননি। কর্মকর্তারা বলছেন, আমরা যে দৃষ্টিকোণ থেকে মনে করছি আদেশ অমান্য করে আদালত অবমাননা করা হয়নি তা অ্যাটর্নি জেনারেলের সামনে উপস্থাপন করেছি। ৩১ মে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। 

এর আগে গত ২৩ মে আদালত একটি আদেশে এনটিআরসিএ ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আইনজীবীদেরকে নিয়ে একটি মিটিং করতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে দায়িত্ব দেন আদালত। সে আদেশ অনুযায়ী সোমবার এ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
 
এর আগে গত ৬ মে হাইকোর্টের একই ভার্চুয়াল বেঞ্চ এনটিআরসিএকে  ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় দেড় হাজার চাকরি প্রত্যাশীকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করার জন্য ৭ দিন সময় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগ দিয়ে জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, এনটিআরসিএর একজন আইন কর্মকর্তা, একজন অতিরিক্ত সচিব, এনটিআরসিএর আইনজীবী কামরুজ্জামান।