সরকারি আদেশ অমান্য করেই চলছে জমজমাট কোচিং বাণিজ্য
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ায় গত বছরের মার্চ মাসে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কোচিং সেন্টার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু এরই মধ্যে করোনার প্রকোপ আবারো বাড়তে শুরু করায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও রাজশাহীর দুর্গাপুরে থেমে নেই কোচিং সেন্টার ও প্রাইভেট প্রোগ্রাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র কোনো প্রকার সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই নতুন কৌশলে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে উপজেলায় করোনা সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্গাপুর থানার দেওয়াল ঘেষেই চলছে সাবেক ছাত্রদল নেতা স্বপনের দুরন্ত কোচিং। তিনি বিভিন্ন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে ছবি তুলে সেটি দেখিয়ে সাধারণ মানুষের বিশ্বস্ততা অর্জনের চেষ্টা করেন। আবার দুর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে চলছে আলোকিত কোচিং সেন্টার। সরকারি আদেশ অমান্য করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলো।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং সেন্টার চালু থাকায় সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। চিকিৎসকরা মনে করছেন, এভাবে কোচিং সেন্টার চললে করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি রয়েছে এসব শিক্ষার্থীদের। করোনার ঝুঁকি নিয়ে কোচিং সেন্টারে আসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। অভিভাবকদের দায়িত্বে অবহেলা ও খামখেয়ালীপনা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সচেতনমহলে। প্রশাসনের এমন উদাসীনতা দেখে উপজেলার সচেতন মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের প্রভাব বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে প্রাইভেট এবং কোচিং সেন্টার চালানো হলে শিশুরা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়বে। শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলা পর্যন্ত প্রাইভেট এবং কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখাই উত্তম হবে।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহাসিন মৃধা বলেন, দ্রুত এসব কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।