নিজ ভাষায় বই পাবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুরা
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, দেশের ৫ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৯৪ হাজারের বেশি শিশুকে তাদের নিজ ভাষায় পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হবে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির সব বই ও তৃতীয় শ্রেণির শুধু বাংলা বই বিতরণ করা হবে। এছাড়া, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা পাবে ব্রেইল বই।
জানা গেছে, এবার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় ২ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮টি বই ৯৪ হাজার ২৭৫ জন শিশুর হাতে তাদের নিজেদের ভাষায় লেখা পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হবে। আর ৯ হাজার ১৯৬ জন দৃষ্ট্রিতিবন্ধীর হাতে ব্রেইল বই তুলে দেওয়া হবে। আগে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ব্রেইল বই দেওয়া হতো।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র সাহা বলেন, চলতি বছর সারাদেশে প্রায় ৩৫ কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। এর সঙ্গে ৫টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিশুদের নিজ ভাষায় ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ব্রেইল বই দেওয়া হবে। ২০১৬ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশু শিক্ষার্থীদের নিজ ভাষায় পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাওতাল নৃ-গোষ্ঠীদের নিজ ভাষায় বই দেওয়ার কথা থাকলেও তাদের মধ্যে একাধিক গ্রুপ থাকায় কোন ভাষায় অক্ষর লিপিবন্ধ হবে, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বিন্দ্বাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এ কারণে এই বছরেও সাঁওতালদের নিজ ভাষায় বই দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে আগামী ১ জানুয়ারি বই উৎসব হচ্ছে না। শিক্ষাবর্ষের শুরুর এই দিনই পালিত হয় উৎসব। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় নতুন বই বিতরণের মাধ্যমে এ উৎসব পালন করা হয়। তবে করোনার কারণে এবার ১ তারিখে সবাই বই পাবে না বলে জানা গেছে।
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ১ জানুয়ারি কোনো বই উৎসব হচ্ছে না। এজন্য অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে বই নিয়ে যাবে।