হচ্ছে না উৎসব, শিক্ষার্থীদের নতুন বই নিতে হবে স্কুলে গিয়ে

প্রতিবছরের ১ জানুয়ারি হয় বই উৎসব
প্রতিবছরের ১ জানুয়ারি হয় বই উৎসব  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। ফলে আগামী ১ জানুয়ারি বই উৎসব হচ্ছে না। শিক্ষাবর্ষের শুরুর এই দিনই পালিত হয় উৎসব। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় নতুন বই বিতরণের মাধ্যমে এ উৎসব পালন করা হয়। তবে করোনার কারণে এবার ১ তারিখে সবাই বই পাবে না বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি থাকলেও করোনা পরিস্থিতি খারাপ পর্যায়ে চলে যাওয়ায় ছুটি আরো বাড়তে পারে। ফলে নতুন বই কবে পাবে শিক্ষার্থীরা, তা নিয়ে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রয়েছে সংশয়ে। এ বছর মোট সাড়ে ৩৪ কোটি নতুন বই মুদ্রণ করা হয়েছে। এ বই এখন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও এবারও ৩১ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নতুন বছরের বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক বেলাল হোসেন বলেন, ‘বই কীভাবে পৌঁছানো হবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাইনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে।’ আর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বই বিতরণ নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, ‘উপজেলা-থানা শিক্ষা অফিস পর্যন্ত বই পৌঁছানোর দায়িত্ব এনসিটিবির। বাকি দায়িত্ব মাউশি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিেই)।’

তিনি বলেন, ‘মাধ্যমিকের ১৩ কোটি এবং প্রাথমিকের আট কোটিসহ ২১ কোটি বই উপজেলা শিক্ষা অফিসে পর্যন্ত পৌঁছেছে। বাকি বই পাঠানোর চেষ্টা চলছে।’ জানা গেছে, এ বছর মাধ্যমিকের বই প্রায় ২৪ কোটি ৩৪ লাখ। সাড়ে ৩৪ কোটি বইয়ের মধ্যে বাকিটা প্রাথমিকের। এরমধ্যে ১ জানুয়ারির আগে মাধ্যমিকের সব বই না পৌঁছলেও প্রাথমিকের সব বই পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাউশি এবং ডিপিই স্কুলে বই পৌঁছানোর জন্য ড্রাফট তৈরি করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ড্রাফট অনুমোদন করবে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সুস্থ হলেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। তবে ১ জানুয়ারির আগে সব বই পৌঁছাবে না। নবম ও দশম শ্রেণির ১৩টি বইয়ের মধ্যে মূল বই আটটি যথাসময়ে পৌঁছবে। আর ব্যাকরণ বই যাবে পরে।

এ বিষয়ে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১ জানুয়ারি কোনো বই উৎসব হচ্ছে না। এজন্য অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে বই নিয়ে যাবে।’ আর ডিপিই মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘একেক দিন একেক শ্রেণির বই বিতরণ করা হবে। রোল নম্বর অনুযায়ী আগে থেকেই বইগুলো প্যাকেট করা থাকবে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ