১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:২৬

৩ অক্টোবরের পর ফের বাড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি

  © সংগৃহীত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আবারও বাড়ছে। আগামী ৩ অক্টোবরের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে করোনা শনাক্তের হার কিছুটা কমায় অনেকের মনেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি খুলছে? কারণ এরই মধ্যে বেশ কিছু দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে। তাই অভিভাবকরাও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আবারও বাড়ছে। আগামী ৩ অক্টোবরের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংক্ষিপ্ত পাঠ পরিকল্পনা প্রকাশ থেকেও । গত  ১৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) আগামী ১ নভেম্বর থেকে ৩৯ দিনের জন্য প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির সংক্ষিপ্ত পাঠ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন জানান, ‘অক্টোবর ও নভেম্বরকে দুটো টার্গেট করে দুটি লেসন প্ল্যান তৈরি করেছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে নভেম্বর থেকে সংক্ষিপ্ত পাঠ-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। অক্টোবরে খোলার বিষয়ে এখনও কোনও নির্দেশনা নেই। পরিস্থিতি উন্নতি হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি নভেম্বরে স্কুল খোলা না যায় তাহলে প্রধানমন্ত্রী যেটি বলেছেন, আমাদের অটো পাস ছাড়া উপায় নেই।

কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অক্টোবরে সম্ভবত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না। সে কারণেই নভেম্বর থেকে শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করে সংক্ষিপ্ত পাঠ পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে সেটাও নির্ভর করছে আগামী দিনের করোনা পরিস্থিতির ওপর।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অনলাইনে চলছে পড়ালেখা। টেলিভিশন ও বেতারে প্রচারিত হচ্ছে বিভিন্ন পর্যায়ের ক্লাস। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষাও এ বছর হচ্ছে না। ফলে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা নিয়েই সবচেয়ে বড় চিন্তায় রয়েছে শিক্ষা প্রশাসন।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে করোনা শনাক্তের হার কিছুটা কমায় এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় চলতি বছরের মধ্যেই এই পরীক্ষা শেষ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, শিগগিরই এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব না হলে আগামী দিনে অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষাও আনুপাতিক হারে পেছাতে হবে। যদি এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণে আরো দেরি হয়, তাহলে উচ্চশিক্ষায় সেশনজট দীর্ঘ হবে।

ফেসবুক ট্রেন্ড পড়ুন: আজ ঊনিশ নয় বিশ তারিখ!