করোনাভাইরাস: চূড়ান্ত পরীক্ষা বাতিল চায় পশ্চিমবঙ্গের উপাচার্যরা

  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা চূড়ান্ত বর্ষ ও চূড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতোমধ্যে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা একই সুরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) চিঠি দিতে চলেছেন। পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে একমত হয়েছেন রাজ্যের বাম নেতৃত্বাধীন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও।

গতকাল শুক্রবার দেশটির উপাচার্য পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়। ইউজিসি-র ২৯ এপ্রিলের ‘গাইডলাইন’ মেনে রাজ্য সরকার সব বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরামর্শ-নির্দেশিকা পাঠিয়েছে, তার ভিত্তিতেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষ ও চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হোক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই কাজে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছে, উপাচার্যরা এবার এ বিষয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যানকে জানাবেন।

এদিকে শিক্ষক সংগঠনও করোনা মহামারির মধ্যে পরীক্ষা বাতিলের ব্যাপারে একমত হয়েছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কেশব ভট্টাচার্য এক লিখিত বিবৃতিতে জানান, তাদের সংগঠন মনে করছে, এমন সঙ্কটে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইন বা অফলাইন কোনো পদ্ধতিতেই শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষা নেয়া সমীচীন নয়। করোনার প্রেক্ষিতে অধিকাংশ দেশেই চূড়ান্ত সেমিস্টারের মূল্যায়ন হচ্ছে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট বা অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন কিংবা শেষ সেমিস্টারে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরবচ্ছিন্ন মূল্যায়নের রেকর্ড অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন, পূর্ববর্তী পরীক্ষার ফল এবং প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসের ভিত্তিতে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করে নির্দিষ্ট সময়ে ফল প্রকাশ করে উচ্চতর শিক্ষা ও চাকরির চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করাই শ্রেয় বলে মনে করে ওয়েবকুটা।

রাজ্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে যে-অ্যাডভাইজরি পাঠিয়েছে, পরীক্ষার বদলে তাতে এ ভাবেই ৮০-২০ ফর্মুলায় মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে।

এদিকে পরীক্ষার ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ১৫ জুলাই উপাচার্যদের নিয়ে অনলাইনে বৈঠক করার কথা রয়েছে। রাজ্যপাল ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য সরাসরি উপাচার্যদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ