এমপিওভুক্তি থেকে বাদ পড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায়
এমপিওভুক্তি থেকে বাদ পড়বে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে বলে মনে করছেন ‘নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন’।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের অনশন কর্মসূচী পালনকালে ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ এমন কথা বলেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৮ম দিন এবং আমরণ অনশনের ২য় দিনে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা।
তাদের দাবি হলো- এমপিও নীতিমালা ২০১৮ স্থগিত করে শুধু স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে এমপিওভুক্তি করা। এজন্য তারা শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলাপ করেন। তবে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে তারা কোনো সফলতা দেখতে না পেয়ে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের দাবি এ অনশন কর্মসূচী পালন করছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সুনির্দিষ্ট তারিখ না পেলে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা।
অনশন কর্মসূচিতে ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৮ সালে এমপিওভুক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে ৯ হাজারের উপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এর মধ্যে থেকে এখন অসঙ্গতিতে ভরা ও ত্রুটিপূর্ণ নীতিমালার ভিত্তিতে ৩ হাজারের মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা হতে পারে বলে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানতে পাচ্ছি। এমনটি হলে দুই-তৃতীয়াংশেরও অধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওর বাইরে থেকে যাবে। দীর্ঘ ৯ বছর অপেক্ষার পর এবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে না পারলে সেগুলোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যোগ্য হয়ে ওঠার প্রেক্ষিতে আবারো এমপিওভুক্ত করা হবে বলে বলছেন। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাদপড়া নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর অধিকতর যোগ্য হয়ে তো উঠবেই না অধিকন্তু এখন যে যোগ্যতা আছে সেই যোগ্যতাও হারাবে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছিলেন, ‘এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া’। কিন্তু তার ১০ বছরের মন্ত্রিত্ব মেয়াদে মাত্র একবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। কাজেই নতুন মন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব মেয়াদে আবারো যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে সেই আস্থা রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
২৬ হাজার রেজিষ্টার্ড প্রাইমারি স্কুল একযোগে সরকারীকরণের মত সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির ঘোষণার মাধ্যমে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট আহ্বান জানান।
সেই সাথে সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের আন্দোলন কর্মসূচিকে বেগবান করার লক্ষ্যে সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।