শূন্য পদে বদলির দাবিতে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সাক্ষাৎ

শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং সংগঠনটির প্রতিনিধি দল
শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং সংগঠনটির প্রতিনিধি দল  © সংগৃহীত

শূন্য পদে বদলির দাবি নিয়ে নতুন শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করেছেন এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় বদলির প্রজ্ঞাপন দ্রুত প্রকাশের দাবি জানায় সংগঠনটি।

সম্প্রতি সচিবালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ভবনে সংগঠনটির সভাপতি প্রভাষক মো. সরোয়ারের নেতৃত্বে একটি দল নতুন শিক্ষা সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভাষক সরোয়ার বলেন, শূন্য পদের বিপরীতে বদলির দাবিতে আমরা নতুন শিক্ষা সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তিনি বলেছেন ‘বদলি চালু করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয়ের নির্দেশনা পেয়েছি। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের একজন কর্মকর্তা কাজ করছেন।’

এদিকে পারস্পারিক বদলি নীতিমালা সংস্কার করে শূন্য পদে বদলি চালুর দাবিতে নতুন করে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ। স্মারকলিপিতে তারা জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা২০১৫ এর ৭নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইনডেক্সধারী শিক্ষকগণ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারত। ৭ নং অনুচ্ছেদ বহাল থাকায় শিক্ষকরা নিজ উপজেলা কিংবা জেলায় শূন্য পদ না থাকায় শিক্ষকরা দূর-দূরান্তে আবেদন করেছিল। পরবর্তী গণবিজ্ঞপ্তিতে নিজ বাড়ির কাছাকাছি পদ শূন্য হলে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারবে সেই আশায় দূরের প্রতিষ্ঠান হলেও তারা যোগদান করেছে।

এতে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর নীতিমালার ৭নং অনুচ্ছেদের কার্যকারিতা সাময়িক স্থগিত করা হয় এবং ২০২৪ সালের ২৫শ জানুয়ারি তা পুরোপুরি বাতিল করা হয়। যার ফলে এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। পরিবার পরিজন ছেড়ে স্বল্প বেতনে দূর-দূরান্তে চাকরি করতে গিয়ে তারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষকের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। নারী শিক্ষকগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হাজার হাজার শিক্ষক আছেন যাদের পক্ষে চাকরি ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। আবার মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে চাকরি করাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। 

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, অধিকাংশ শিক্ষকই নিজ বাড়ির কাছাকাছি প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন। কারণ স্বল্প বেতনে শহরে থেকে জীবনযাপন করা তাদের পক্ষে কষ্টকর। এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের শূন্য পদে বদলির সুযোগ দিলে প্রার্থীরা দূর-দূরান্তে আবেদন করতে দ্বিধা করবে না। এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর ১২.২ অনুচ্ছেদ (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ) এবং এমপিও নীতিমালা-২০১৮ এর ১২(খ) অনুচ্ছেদ (কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ) অনুযায়ী এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দের জন্য পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে বদলি চালুর কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ইতোমধ্যে উক্ত নীতিমালা অনুসরণ না করে বিগত সরকার পারস্পরিক বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। পারস্পারিক বদলির মাধ্যমে ১% শিক্ষকও উপকৃত হবে না । এ অবস্থায় ‘পারস্পরিক বদলি নীতিমালা-২০২৪’ সংশোধন করে সকল বৈষম্য দূর করে মাদ্রাসা ও কারিগরি থেকে স্কুল-কলেজে এবং স্কুল-কলেজ থেকে মাদরাসা ও কারিগরিতে যাওয়ার জন্য একই সফটওয়্যারের মাধ্যমে দ্রুত বদলির ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানান তারা।


সর্বশেষ সংবাদ