২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৫

ইনডেক্সধারীদের বদলির খসড়া তৈরি, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরোধিতায় আটকা

শূন্য পদের বিপরীতে বদলির দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান  © সংগৃহীত

বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের শূন্য পদের বিপরীতে বদলি সংক্রান্ত খসড়া তৈরি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। তবে মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মকর্তার বিরোধিতা খসড়া নীতিমালাটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমাদের বিভাগসহ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে শূন্য পদের বিপরীতে বদলি প্রক্রিয়া চালু করতে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তার বিরোধিতার কারণে নীতিমালা এখনো চূড়ান্ত করা যায়নি।’

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দুর্দশার কথা আমরা সবাই জানি। বিষয়টি মানবিক হওয়ায় শিক্ষা উপদেষ্টা দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তবে কতিপয় কর্মকর্তার কারণে নীতিমালা চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না। এটি কবে নাগাদ চূড়ান্ত হবে সেটিও নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।’

এদিকে শূন্য পদের বিপরীতে সর্বজনীন বদলির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা। কর্মসূচি চলাকালীন শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টা এবং শিক্ষা সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষকরা এখনো প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন।

এর আগে রবিবার সকাল ১০টা থেকে বদলির দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন শিক্ষকরা। সকাল থেকে চলা এ কর্মসূচি বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কিছুটা উত্তাপ ছড়ায়, যখন শিক্ষকরা রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা শিক্ষকদের সচিবালয় অভিমুখে যেতে বাধা দেয়।
 
প্রসঙ্গত, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলির কোনো ব্যবস্থা নেই। ইতিপূর্বে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন। তবে এমপিও নীতিমালা ৭ নম্বর ধারার কার্যকারিতা স্থগিত করায় সে সুযোগও বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে পারস্পারিক বদলি নীতিমালা জারি হলেও তা কোনো শিক্ষকের উপকারে আসবে না বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।