টঙ্গিতে অধ্যক্ষকে সরিয়ে আওয়ামী নেতাকে বসানোর অভিযোগ
গাজীপুরের টঙ্গি ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ককে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৯ আগস্ট বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে বহিরাগত কিছু তরুণ-যুবকের চাপে পদত্যাগ করেন। সিরাজউদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমান। তাঁর পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় মজিবুর রহমানকে তিনি প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক স্থানীয় আওয়ামী নেতা।
ছাত্র জনতার অভূ্যথানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনে এসেছে বিশেষ পরিবর্তন । অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান নিজে থেকে পদত্যাগ করেছেন অনেককে আবার পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন শিক্ষার্থীরা। গাজীপুরের টঙ্গীতে সিরাজউদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য করে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের স্থানীয় সুবিধাভোগী কিছু নেতা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটি থেকে অবৈধভাবে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। অধ্যক্ষ মো. ওয়াদুদুর রহমানের কারণে তারা সফল হতে পারেনি।
এ কারণে তাঁকে সরিয়ে দিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে বহিরাগত কিছু অছাত্র দিয়ে এমন কাজ করেন। এতে সহায়তা করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান, এমনটি অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমান। অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এর আগে কর্তৃপক্ষের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম করে কিছু বহিরাগত অছাত্র ১৯ আগস্ট ওই প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের চাপে সেদিন বিকেলে পদত্যাগ করেন অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমান। তাঁর পদে দায়িত্ব দেওয়া হয় মজিবুর রহমানকে।
সহকারী প্রধান শিক্ষক, মুজিবর রহমান এ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন 'আমি কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত নই। বরং আমার বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অধ্যক্ষকে অপসারণে আমার কোনো ভূমিকা ছিল না, এটি ক্ষুব্ধ সাধারণ ছাত্রদের কাজ।'
'২০০৮ সাল থেকে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলে আসছে। স্থানীয় স্বার্থান্বেষী একটি মহল আমার কারণে প্রতিষ্ঠানটি লোপাটের সুযোগ না পেয়ে এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারাই বহিরাগত কথিত ছাত্রদের দিয়ে আমাকে অফিসকক্ষে অবরুদ্ধ করে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। আমি বৈষম্যের শিকার।' বলে মন্তব্য করেন পদত্যাগী অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমান।
অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন গাজীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহজাহান। তিনি জানান, তদন্তে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিথ্যা হলে ওয়াদুদুর রহমান স্বপদে বহাল থাকবেন।