নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়নের প্রথম দিনেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন শুরু হয়েছে গতকাল বুধবার। প্রথম দিনের মূল্যায়নেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। যদিও নতুন শিক্ষাক্রমে প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই বলে দাবি সরকারের।
জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন নির্দেশিকা বা প্রশ্ন তৈরি করেছে। নির্দেশিকা বা প্রশ্ন পরীক্ষার আগের দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে ইমেইল বা অন্য মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। এই প্রশ্ন ডাউনলোডের পর ফটোকপি করে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র বা নির্দেশিকা পৌঁছানোর আগেই তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে এবং বুধবার সকালে ফেসবুক এবং ইউটিউবে মূল্যায়ন কার্যক্রমের শিক্ষার্থী নির্দেশিকা বা প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে উত্তর তৈরি করেও ছড়ানো হয়। গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত মূল্যায়ন কার্যক্রমের শিক্ষার্থী নির্দেশিকার সঙ্গে ফাঁস হওয়া নির্দেশিকার হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বগুড়ার এক অভিভাবক জানান, তার সন্তান বগুড়া জিলা স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়েন। মঙ্গলবার রাতে মূল্যায়নের নির্দেশিকা ইউটিউব থেকে সংগ্রহ করেন। ওই নির্দেশিকার সঙ্গে বুধবার স্কুলে দেওয়া নির্দেশিকার হুবহু মিল রয়েছে। এভাবে প্রশ্ন ফাঁস হলে শিক্ষার্থীরা কোনো কিছুই পড়বে না, শিখবেও না। এ বিষয়ে সরকারের কঠোর হওয়া দরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, আমরা যেভাবে মূল্যায়ন নির্দেশিকা তৈরি করেছি, তাতে প্রশ্ন ফাঁস হলেও খুব একটা সমস্যা হবে না। তবে মূল সমস্যা হচ্ছে কিছু ব্যক্তি এই নির্দেশিকার উত্তরপত্র তৈরি করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়ছেন। এতে মূল্যায়ন কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে যোগাযোগ করছি। কারো মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বাইরে গেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।